ধরে রাখা যাবে যৌবন! ভারতীয় বিজ্ঞানীর অমর হওয়ার চিকিৎসার খোঁজ সাড়া ফেলল গোটা বিশ্বে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স (Age) ধরে রাখতে কে না চান। তবে ইচ্ছে থাকলেও ঘড়ির কাঁটাকে কখনোই আটকে রাখা সম্ভব নয়। ঠিক তেমনই সম্ভব নয় বয়স আটকে (Anti Aging) রাখা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে আসতে থাকে নানান পরিবর্তন। বয়স বাড়লেই সাদা হয়ে যায় চুল, কুঁচকে যায় চামড়া, এসব কিছুই বুঝিয়ে দেয় বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন আপনি।

পুরানির কাহিনী অনুযায়ী, যযাতি জরা দান করে বৃদ্ধ থেকে হয়ে উঠেছিলেন যুবক। যদিও কিভাবে তিনি সফলতা পেয়েছিলেন তা আজও রহস্যই রয়ে গেছে। এই রহস্য উন্মোচনের জন্য নিরন্তন কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। কিভাবে বুড়ো হয়ে যাওয়া কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় তা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে গবেষণা।

বর্তমান সময়ে সকলের কাছেই ‘ অ্যান্টি এজিং’ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর অর্থ হল বয়স ধরে রাখা। একটু ঘুরিয়ে বললে, প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে ফাঁকি দিয়ে শরীরের বয়স কমিয়ে রাখার পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যান্টি এজিং। বয়স ধরে রাখতে অনেকেই ভরসা রাখছেন ব্যামে। অনেকেই আবার শরীরে লাগাচ্ছেন নামিদামি প্রোডাক্ট।

কিভাবে বুড়ো বয়সেও শরীরে তারুণ্যের ছাপ ধরে রাখা যায় তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্ব জুড়ে। সম্প্রতি সাইন্স জার্নালে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির তেমনই একটি গবেষণা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানেই গবেষক বিজয় যাদব এমন এক খোঁজের কথা উল্লেখ করেছেন যা শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন সকলে।

কোষের বয়স ধরে রাখতে অ্যামাইনো অ্যাসিডের খোঁজ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই বিজ্ঞানী। তাঁর কথায়, এক বিশেষ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর চালানো হয়েছে এই পরীক্ষা। আর তার পরেই নিশ্চিত হয়েছেন তিনি, এমনটাই দাবি করেছেন গবেষক বিজয় যাদব।

anti aging

জানা যাচ্ছে, এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের নাম টরিন। তাঁর কথায়, এটি কোষের ডিএনএ কে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে টেলোমারেজকে। আসলে, শরীরে কোষ গুলির কার্যক্ষমতা কমলেই মানুষ বুড়ো হতে থাকে। তবে বুড়ো হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে ঘুরিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। আজীবন থাকবে যৌবন। আর এই কাজটাই নাকি করতে সক্ষম ওই অ্যামাইনো অ্যাসিড।


additiya

সম্পর্কিত খবর