বাংলা হান্ট ডেস্ক : ১৫ দিনের মধ্যে দিল্লির (Delhi) দু’টি প্রাচীন মসজিদ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল রেল (Indian Railway)। উত্তর রেলওয়ের তরফে ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। দিল্লির বাংলা মার্কেট মসজিদ এবং বাবর শাহ তাকিয়া মসজিদকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রেল। অবিলম্বে খালি করতে হবে জমি। নির্ধারিত সময়ে মসজিদগুলি না সরানোর হলে জমি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্থানান্তরের সময় কোনও ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার নেবে না রেল। ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী করা হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই। এছাড়াও দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (এমসিডি) সংলগ্ন অফিসকেও খালি করার নির্দেশ দিয়েছে রেল। ওই অঞ্চলে মশার লার্ভা বেশি জন্মাচ্ছে। কার্যত ম্যালেরিয়ার আঁতুরঘরে পরিণত হচ্ছে ওই এলাকা। তাই দ্রুত সেখানকার অফিস অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।
বাবর শাহ তাকিয়া মসজিদের সচিব আবদুল গাফফার এবিষয়ে জানান, মসজিদটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। পুরনো এই মসজিদগুলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু ইতিহাস। জড়িয়ে আছে মানুষের আবেগ ও ধর্মও। রেলের এই নোটিস ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিনা অনুমতিতে রেলের জমিতে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদগুলি। অন্যদিকে মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, শতাব্দী প্রাচীন এই উপাসনালয়গুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
এদিকে, বারাণসী আদালতের (Varanasi Court) নির্দেশে আজ শুরু হয়ছিল জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Maajid) বৈজ্ঞানিক সমীকক্ষা। ইতিমধ্যেই এই সমীক্ষার বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছে মামলা। আর সেই প্রেক্ষিতে সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তার আগে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে (Archeological Survey of India) কোনও খনন কাজ করতে নিষেধ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই নিয়ে বলেন, ‘আপাতত সেখানে স্থিতাবস্থা থাকুক। কোন খনন যেন না করা হয় ততক্ষণ। এমন কোনও পদ্ধতিতেও যাতে সমীক্ষা না চালানো হয় যাতে সেই কাঠামোর ক্ষতি হয়।’ পরে শুনানি চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘একটা ইটও তার জায়গায় থেকে সরানো হয়নি। এখন শুধু ছবি তুলে এবং মাপজোক করে সমীক্ষা চলবে।’