৪৮ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু, ৪০৩৩ কোটি বরাদ্দ, ছটপুজো উপলক্ষে বড় ঘোষণা রেলের

Published on:

Published on:

Indian Railways announces 48 pairs of special trains for Chhath Puja

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছটপুজোর মরশুমে ভিড় সামলাতে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ঘোষণা করেছে যে, এবার মোট ৪৮ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে ছটপুজো উপলক্ষে। বুধবার আলিপুরদুয়ার জংশনের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানান আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দেবেন্দ্র সিং।

তিনি জানান, বিহারগামী একাধিক বিশেষ ট্রেন চলবে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের মধ্য দিয়ে, যাতে পুজোর সময় মানুষ নির্বিঘ্নে নিজের বাড়ি ফিরতে পারেন। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামবে এই ট্রেনগুলি।

স্টেশনগুলিতে (Indian Railways) কড়া নিরাপত্তা

ডিআরএম দেবেন্দ্র সিং বলেন, “ছটপুজোয় যাত্রীরা যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তার জন্য প্রতিটি রেলস্টেশনে আরপিএফ-এর কড়া নজরদারি থাকবে।” শুধু ছটপুজো নয়, সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য, ভুটানের গ্যালিমফু ও সামচে শহরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনে ভারতীয় রেল বোর্ড ইতিমধ্যেই ৪০৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারত-ভুটান সীমান্তের বাণিজ্য ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘ভোটের আগে হিন্দি বলয়কে খুশি করা’, কটাক্ষ বিরোধীদের কটাক্ষ

রেলের (Indian Railways) এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, বিহার ভোটের আগে রেলকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৃন্ময় সরকার কটাক্ষ করে বলেন, “সামনে বিহারের ভোট। এবার বিহারের ভোটে উৎখাত হবে এনডিএ সরকার। বিহারের ভোটকে সুনিশ্চিত করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে ব্যবহার করছে এনডিএ। আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী বারবার বলেছেন, যত ট্রেনই চালাক না কেন, এবার বিহার থেকে সরে যাবে এনডিএ সরকার।”

Indian Railways announces 48 pairs of special trains for Chhath Puja

আরও পড়ুনঃ SSKM হাসপাতালে ১৫ বছরের নাবালিকাকে শৌচাগারে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত প্রাক্তন ওয়ার্ড বয়

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত মূলত ‘হিন্দি বলয়কে খুশি করার কৌশল’, যাতে ভোটের আগে উত্তর ও পূর্ব ভারতের জনসমর্থন টানা যায়। যদিও রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে দাবি, এটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক পদক্ষেপ যাত্রী সুরক্ষা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।