যখন খুশি টিকিট কাটার দিন শেষ, যাত্রীদের সুবিধায় বুকিংয়ের নিয়মে বিরাট বদল আনল রেল

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন নিয়মে পরিবর্তন আনতেই থাকে ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways)। সম্প্রতি এবার টিকিট বুকিংয়ের নিয়মে বিরাট বদল আনা হয়েছে রেলের তরফে। এই নতুন নিয়মের কারণে আর চাইলেই যখন তখন টিকিট কাটা যাবে না রেলে। তবে রেলের (Indian Railways) তরফে দাবি করা হয়েছে, এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি নয়, বরং সুবিধাই হবে।

রেলের (Indian Railways) টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বড় বদল

রেল সূত্রে খবর, এমার্জেন্সি কোটার অধীনে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে। সম্প্রতি রেলের (Indian Railways) চার্ট তৈরিতে বদল আনা সময়েই এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম হিসেবে, এমার্জেন্সি কোটায় কেউ সফর করবে কিনা তা বাধ্যতামূলক ভাবে আগে থেকেই জানাতে হবে। আর শেষ মুহূর্তে নয়, টিকিট চাইলে সফরের অন্তত একদিন আগে জানাতে হবে। আসলে যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ট্রেন (Indian Railways) ছাড়ার ২ ঘন্টা আগে নয়, বরং ৮ ঘন্টা আগে রেলের যাত্রী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলা হচ্ছে।

Indian Railways changed ticket booking system

কী নতুন নিয়ম: নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ট্রেন (Indian Railways) যদি রাত ১২ টা থেকে দুপুর ২ টোর মধ্যে ছাড়ে, সেক্ষেত্রে এমার্জেন্সি কোটায় টিকিট চাইলে ট্রেন ছাড়ার আগের দিন দুপুর ১২ টার আগে জানাতে হবে। আবার কোনও ট্রেন দুপুর ২ টো থেকে রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ছাড়লে সফরের আগের দিন বিকেল ৪ টের মধ্যে জানাতে হবে। সফরের আগের দিন ছুটির দিন থাকলে তার আগের দিন ওয়ার্কিং আওয়ারের মধ্যে জানাতে হবে আবেদন।

আরও পড়ুন : বেড়েই চলেছে খাই, মাত্র ৩ মাসের সঞ্চালনার জন্য বিগ বস থেকে কত টাকা নিচ্ছেন সলমন জানেন?

রেলের চার্ট তৈরিতে দেরি: এমার্জেন্সি কোটায় মূলত রেলকর্মী, ভিআইপি বা মেডিকেল এমার্জেন্সির যাত্রীরা সফর করে থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই এই কোটার দেদারে অপব্যবহার চলছে। শেষ মুহূর্তে এই কোটায় টিকিট বুকিং করা হলে রেলের (Indian Railways) চার্ট তৈরিতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। যার ফলে ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা পড়তেন মহা সমস্যায়। সেই কারণেই নিয়মে এই বদল।

আরও পড়ুন : ভোটার-আধার সবই ‘অকেজো’, নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে এখনই জোগাড় করুন এই নথি!

রেলের তরফে নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, এমার্জেন্সি কোটার আর যেন অপব্যবহার না করা হয়। পাশাপাশি এই কোটার ক্ষেত্রে সফর করা যাত্রীদের পরিচয় যেন খতিয়ে দেখা হয় এবং গাইডলাইন মেনেই যেন টিকিট দেওয়া হয়।