বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় বড় ক্ষতি ভারতীয় রেলের (Indian Railways)! একশো-দুশো টাকা নয় এক ধাক্কায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল ভারতীয় রেল (Indian Railways) কর্তৃপক্ষের। আর তার জন্য দায়ী স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে বিশাখাপত্তনামের একটি রেলওয়ে স্টেশনে। ডিউটিতে থাকাকালীন সময়ে ফোনের মধ্যেই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করছিলেন রেল মাস্টার।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় ৩ কোটি টাকার লস রেলের (Indian Railways)
আর তাতেই নয় নয় করে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল রেল (Indian Railways) কর্তৃপক্ষের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সামান্য একটা ভুলের জন্যই ট্রেন চলে গেল অন্য রুটে। আর তাতেই এত বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways)।
ঠিক কি হয়েছিল সেদিন?
আসলে ডিউটিতে থাকাকালীন সময়েই ওই রেল মাস্টারের সাথে ফোনের মধ্যে ঝগড়া শুরু করে দিয়েছিল তার স্ত্রী। ওইসময় স্টেশন মাস্টারের অন্য হাতে ছিল অফিসের ফোন। কথা চলছিল দু’পক্ষের সাথেই। একদিকে তাঁর স্ত্রী ফোনেই বলেন, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এসো, তারপরে কথা বলবো। উত্তরে স্বামী বলেছিলে ‘ওকে’। অন্যদিকে ততক্ষণে রেল মাস্টারের সাথে তার স্ত্রীর কথোপকথন শুনে চরম ভুল করে বসেন ফোনের ওপারে থাকা রেল মাস্টার।
কারণ ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা রেল মাস্টার ট্রেনের রুট সম্পর্কে প্রশ্ন করে ট্রেন ছাড়ার সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। তাই ওই রেল মাস্টার ফোনে তাঁর স্ত্রীকে ‘ওকে’ বলতেই তিনি ভুল বোঝেন। আর ট্রেনটি অন্য রুটে চালিয়ে দেন। আর এইভাবে ট্রেন ভুল রুটে ট্রেন চলে যাওয়ার জন্য রেলের মোট তিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এই খবর রেল কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছাতেই ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন ওই রেলমাস্টার। অন্যদিকে অপর রেলমাস্টারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইতিমধ্যেই নাকি স্ত্রীর সাথে তার ডিভোর্স-ও হয়ে গিয়েছে। ওই রেল মাস্টারের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি চলছিল।
আরও পড়ুন : রেখা পাত্রকে ‘মাল’ বলে বিপাকে ফিরহাদ! তীব্র নিন্দা সুকান্ত-শুভেন্দুর
অভিযোগ বৌভাতের রাতেই স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রীর অন্য কারও সাথে সম্পর্ক রয়েছে। যাকে সে বিয়ের পরেও ভুলতে পারিনি। যদিও সেসময় ওই ব্যক্তিকে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোক আশ্বস্ত করেছিল তাদের মেয়ে সবকিছু ভুলে নতুন করে সংসার করবে। কিন্তু বিষয়টি এখানেই শেষ হয় না। বিয়ের পরেও দিনের পর দিন ওই মহিলা তার প্রেমিকের সাথে কথা বলতে থাকেন।
আর এদিন রাতে ওই রেল মাস্টার যখন ডিউটিতে ছিলেন তখন তার স্ত্রীর ফোন আসতেই শুরু হয় ঝগড়া আর তার ফলে ঘটে যায় এত বড় বিপত্তি। এই ঘটনার পরে বিশাখাপত্তনম পারিবারিক আদালতে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডিভোর্সের মামলা করেন স্বামী। অন্যদিকে স্ত্রী তার স্বামীর এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুক সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে। যদিও পরে আদালতে প্রমাণ হয়ে যায় ওই মহিলা তার স্বামী এবংশ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে। তারপরে আদালত রেল মাস্টারের বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেন এবং ইতিমধ্যেই তাদের ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে।