বাংলাহান্ট ডেস্ক: কখনও ভারতীয় রেলের (Indian Railways) মালগাড়ি লক্ষ্য করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন, মালগাড়ি (Goods Train) বিভিন্ন ধরনের হয়। ভারতের মেরুদণ্ড হল ভারতীয় রেল। শুধু যাত্রীই নয়, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও রেল পরিষেবা দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়লা, তেল, দুধ, গাড়ি ইত্যাদির মতো বহু জিনিস দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠাতে ব্যবহার করা হয় মালগাড়ি।
ফলে মালগাড়ির বগিগুলিও পণ্য বিশেষে আলাদা হয়। যেমন ধরুন কয়লার বগিতে কখনই তেল বহন করা যাবে না। আবার তেলের বগিতে দুধ বহন করা যাবে না। গাড়ি নেওয়ার বগিতে যেমন কয়লা বা অন্যান্য সামগ্রী নেওয়া যাবে না। এর জন্যেই বিভিন্ন জিনিসের জন্য বিভিন্ন দেখতে বগি তৈরি করা হয়। মূলত ৪ ধরনের ওয়াগন রয়েছে মালগাড়ির। দেখে নিন কোনগুলিকে কী বলে এবং এগুলির কাজ কী।
১। BCN ওয়াগন:
এই ওয়াগনগুলি পুরোপুরি ঢাকা দেওয়া থাকে। এগুলিকে দেখতে একটি চলমান বাক্সের মতো। এগুলির মূলত খাদ্যশস্য এবং সিমেন্ট পরিবহনে এই ধরনের বগি ব্যবহার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই ছাদ খোলা ওয়াগনে খাদ্যশস্য পরিবহন করা যায় না। তাতে অনেক ক্ষতি হতে পারে। যেমন বৃষ্টিতে ভিজে গেলে খাদ্যশস্য ও সিমেন্ট নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ক্ষতি এড়াতে এই ধরনের ওয়াগন ব্যবহার করা হয়। ৫৮ টন অবধি ওজন বহন করতে পারে এই ওয়াগনগুলি।
২। BOXN ওয়াগন:
এই ওয়াগনগুলির ছাদ খোলা থাকে। এগুলিতে এমন জিনিস বহন করা হয়, যেগুলি ভিজে গেলেও কিছু হবে না। এগুলিতে তাই কয়লা ও পাথরের মতো জিনিস নিয়ে যাওয়া হয়। মূলত কয়লা খনি ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে এমন ধরনের ওয়াগন দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার পরিবহন মূলত রেলের মাধ্যমেই করা হয়। তাই সেখানে এমন ওয়াগনের ভিড় দেখা যায়।
৩। BTPN ওয়াগন:
এই ওয়াগনগুলি দেখতে একটি ট্যাঙ্কের মতো হয়। মূলত তরল পদার্থ পরিবহনে এই ওয়াগন ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ওয়াগনে পেট্রোল, কেরোসিন অথবা দুধ নিয়ে যাওয়া হয়। ট্যাঙ্কের মতো দেখতে হওয়ায় এগুলি থেকে তরল পদার্থ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই এই ধরনের ওয়াগন ব্যবহৃত হয়।
৪। Hopper ওয়াগন:
কয়লা ও পাথর পরিবহনের ক্ষেত্রে আরও এক ধরনের ওয়াগন হল Hopper ওয়াগন। এগুলিকে দেখতে একটি বাস্কেটের মতো হয়। ছাদের দিক থেকে খোলা থাকে এগুলি। হপার ওয়াগনেও এমন জিনিস নেওয়া হয় যা জলে নষ্ট হবে না।