৩১ ঘণ্টা নয়, মাত্র ১০ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে কলকাতা টু ত্রিপুরা! নতুন রেলপথ তৈরির প্রস্তুতি তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এতদিন পর্যন্ত ত্রিপুরার (Tripura) মানুষদের কলকাতা আসতে হলে রেলপথে ৩৫ ঘন্টার কাছাকাছি সময় লাগত। কিন্তু এবার মাত্র ১০ ঘন্টায় ত্রিপুরা থেকে আসা যাবে কলকাতা (Kolkata)। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এমন খবরই শোনালেন। মানিক বাবু জানিয়েছেন আগরতলা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে রেলপথ তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে।

এই কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের মধ্যেই ট্রেনে করে আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে মাত্র ১০ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, খুব দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে আগরতলা থেকে গঙ্গাসাগর (ভারত- বাংলাদেশ) রেলওয়ের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ করা হচ্ছে। এই লাইনে ট্রেন চলাচল চলতি বছরের শেষেই শুরু হয়ে যাবে।

আরোও পড়ুন : শহরবাসীর জন্য দুর্দান্ত চমক কলকাতা মেট্রোর! জোরকদমে চলছে কাজ, খুলবে আরেকটি স্টেশন

প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে আগরতলা থেকে আখাউড়া হয়ে বাংলাদেশের এলাকা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ করছে। একই সাথে বাংলাদেশ সরকার চাইছে দ্রুত পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে। এই লাইনের কাজ শেষ হলে দ্রুত আগরতলা থেকে বাংলাদেশে হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতায়। বর্তমানে আগরতলা থেকে কলকাতায় আসা ট্রেনগুলি গুয়াহাটি ঘুরে আসে। 

আরোও পড়ুন : মুচি থেকে নাপিত, সবাই এবার পেতে চলেছেন ১৫০০০ টাকা! এছাড়াও মিলবে প্রতিদিন ৫০০ টাকার সুবিধা

এর ফলে আগরতলা থেকে কলকাতা আসতে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তবে ঢাকা হয়ে কলকাতা আসলে ট্রেনে মাত্র ১০ ঘন্টা সময় লাগবে। সেই লক্ষ্যে আরও বেশি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে রেল। এছাড়াও, দেশের যে ৫০৮টি স্টেশনকে উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে ত্রিপুরার তিনটি রেলস্টেশন আছে।

up train loot

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নতির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের Act East পলিসির জন্য এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। ধর্মনগর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ডাবল লাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগরতলা থেকে আরও বেশি ট্রেন চালানোর চিন্তাভাবনা করাও হচ্ছে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর