বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতবাসী হয়ে ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সারা বিশ্বে বিখ্যাত ভারতীয় রেল (Indian Railways) ব্যবস্থা। ট্রেন (Train) হল একটি মাধ্যম যা এক শহর থেকে অন্য শহর এবং এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে সস্তা এবং নিরাপদ পরিবহনের মাধ্যম। ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেন নম্বর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেন বুকিং থেকে শুরু করে ট্রেন সম্পর্কে তথ্য জানতে এই নম্বর প্রয়োজন। কিন্তু জানেন কি, ট্রেনের এই নম্বর আসলে বিশেষ ধরনের একটি কোড? ট্রেনের প্রত্যেক বগিতে পাঁচ ডিজিটের একটি করে নাম্বার লেখা থাকে। তবে ১ থেকে ৯ এর মধ্যে যা খুশি সংখ্যা লিখে দেওয়া হয়না। এই সংখ্যাগুলি অর্থবহ। ঝাঁসি রেলওয়ে বিভাগের জনসংযোগ আধিকারিক মনোজ কুমার সিং এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : অভিষেকের আশঙ্কাবাণীই সত্যি! কলকাতার তিন জায়গায় হানা আয়করের, নজরে কারা?
বলেন, ট্রেন নম্বর আসলে বিশেষ ধরনের কোড। তাঁর কথায়, ট্রেনের প্রথম নম্বর ০ হলে সেটি বিশেষ ট্রেন। হতে পারে গ্রীষ্মকালীন ট্রেন। যদি প্রথম নম্বর ১বা ২ হয়, তবে সেটি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস বা এক্সপ্রেস ট্রেন। ৩ নম্বর মানেই সেটি কলকাতা রেলওয়ের কোড। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কোড ৫, মেমু ট্রেনের প্রথম নম্বর ৬। আর সুবিধাযুক্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রথম নম্বর ৮।
আরোও পড়ুন : হাঁটু কাঁপবে চীন-পাকিস্তানের। এবার ২৬টি রাফাল কাঁপাবে সমুদ্র, খরচ শুনলে চোখ কপালে উঠবে
মনোজ কুমার সিং বলেছেন, সেন্ট্রাল রেলওয়ে বা ওয়েস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের ট্রেনের নম্বরের দ্বিতীয় সংখ্যা ১ হয়। যেমন রাজধানী, শতাব্দী, জনশতাব্দী, গরিব রথের মতো ট্রেনগুলিতে লক্ষ করলে এই নম্বর দেখা যাবে। ইস্টার্ন রেলওয়ে এবং ইস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ে থেকে যেসব ট্রেন চলে, সেগুলির প্রথম নম্বর ৩৷ ৪ নম্বরটি নর্দার্ন এবং নর্দার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের ট্রেনের জন্য। এভাবেই নম্বর ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন জোনের ট্রেনের ক্ষেত্রে।
তবে ট্রেনের এই কোডের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বিশেষ রহস্য। মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, ট্রেনে নম্বরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংখ্যার সংমিশ্রণে জানা যায় ট্রেনটি কোন রেল বিভাগ থেকে চলে। ঝাঁসি রেলওয়ে বিভাগ থেকে যে সকল ট্রেন চলে সেগুলির জন্য ২১ বা ২২ কোড ব্যবহৃত হয়। ঝাঁসি রেলওয়ে বিভাগ থেকে চলে ১২১৭৬ হাওড়া চম্বল এক্সপ্রেস। যদিও ট্রেনের চতুর্থ কিংবা পঞ্চম নম্বরের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম নেই।