বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাম্প্রতিক অতীতে দেশে ঘটে গেছে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা। এই প্রেক্ষিতে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে মোদি সরকারের দিকে। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ট্রেন কর্মচারীদের একাংশের অভিযোগ ঠিক মতো বিশ্রাম দেওয়া হয়না ট্রেন চালকদের। তাই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক দুর্ঘটনা।
ট্রেন (Train) চালকদের ‘স্বাচ্ছন্দ্য’ প্রচারে নামল রেল (Indian Railways)
প্রশ্নের মুখে পড়ছে যাত্রী সুরক্ষা। এই অবস্থায় নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষায় তৎপর হয়েছে রেল (Indian Railways)। ট্রেন চালকদের রেল কতটা আরাম আর স্বাচ্ছন্দ্য দেয় সেই প্রচারে উদ্যোগী হল রেলওয়ে।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস-সহ একাIধিক ট্রেন দুর্ঘটনায় বারবার ট্রেন চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম, অনিয়মিত ডিউটি সময়, দায়িত্ব ভাগের সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরোও পড়ুন : ISRO’র বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই হল রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন, চর্চা শুরু দেশজুড়ে
কিছুদিন আগে লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে রেলের লোকো চালক এবং সহকারী চালকদের একাংশ পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ার অবযোগ করেন। মনে করা হচ্ছে সেই প্রেক্ষিতেই জোন বা আঞ্চলিক স্তর থেকে নামা হল পাল্টা প্রচারে। পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং মেট্রো রেল চালকদের কতটা স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে সেই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে জানায় সোমবার।
আরোও পড়ুন : এক নিমেষে গরম গায়েব! ভোটের দিন বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ! কতদিন চলবে বর্ষণ?
রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব রেলের শিয়ালদহে চালকদের জন্য বাতানুকূল কামরা, উন্নত বিছানা, ক্যান্টিন, ফুট ম্যাসাজের ব্যবস্থার কথা। রেল এই ব্যবস্থাকে পাঁচ তারা হোটেলের সাথেও তুলনা করেছে বিবৃতিতে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল বলছে, আন্দুল লবিতে ট্রেন চালকদের দু তারা হোটেলের মতো স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া হয়ে থাকে লোকো পাইলটদের।
এছাড়াও বাতানুকূল ক্রু লবির কথা জানায় মেট্রো কর্তৃপক্ষও। অন্যদিকে, রেল চালকদের (Driver) সূত্র বলছে, প্রতি মাসে রানিং রুমের চার্জ কাটা হয় চালক, সহকারী চালক এবং গার্ডদের বেতন থেকে। পরিকাঠামোগত দিক থেকে কিছু রানিং রুমের অবস্থা উন্নত হলেও, অধিকাংশ রানিং রুমের অবস্থা শোচনীয়। প্রয়োজনের তুলনায় নেই ঘর।
অনেকসময় বসার ঘরেই সময় কাটাতে হয় বলে অভিযোগ। রেল চালকদের একাংশ বলেছে, তাদের অনেক সময় কাজ করতে হয় প্রতিকূল আবহাওয়ায়। একটানা ৩-৪ রাত চালাতে হয় ট্রেন (Train)। মেলে না পর্যাপ্ত ছুটি ও বিশ্রাম। এই অবস্থায় রেল (Indian Railways) স্বাচ্ছন্দ্য প্রচারের মধ্যে দিয়ে আড়াল করতে চাইছে অনেককিছুই।
পূর্ব রেলের মেন্স কংগ্রেসের সভাপতি বিনোদ শর্মার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘চালক এবং সহকারী চালকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম, সেটা ওঁরা বলছেন না কেন ?’’ পূর্ব রেলের মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেছেন , ‘‘রানিং রুমে চালকেরা দু’টি ডিউটির মধ্যেকার সময়ে থাকেন। ওটাকে তাঁদের বিশ্রামের জায়গা বলা ঠিক নয়। আসল সত্যি আড়াল করছে রেল।’’