আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার বড় পদক্ষেপের পথে ভারতীয় রেল! প্রভাবিত হবেন যাত্রীরা?

Published on:

Published on:

Indian Railways is taking big steps to increase revenue.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারতীয় রেল (Indian Railways) ক্রমাগত আয় বৃদ্ধির ওপর মনোযোগ দিচ্ছে। যে কারণে একের পর এক বড় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত, রেল মন্ত্রক যাত্রীদের আরও ভালোভাবে পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের দিকেও যথেষ্ট নজর দিচ্ছে। ঠিক এই আবহেই একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে।

কী পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের (Indian Railways):

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রেলের নতুন পরিকল্পনার অধীনে, এখন ট্রেনে বাল্ক সিমেন্ট পরিবহণ করা সস্তা এবং সহজ হতে চলেছে। নতুন পলিসির অধীনে, রেল ইতিমধ্যেই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে, প্রতি কিলোমিটারে প্রতি টন ৯০ পয়সা করে পণ্য পরিবহণের জন্য চার্জ করা হবে। এদিকে, কারখানা থেকে সরাসরি কনস্ট্রাকশন সাইট পর্যন্ত সিমেন্টের দ্রুত পরিবহণ নিশ্চিত করার জন্য দেশজুড়ে নতুন বাল্ক সিমেন্ট টার্মিনালও তৈরি করা হবে।

Indian Railways is taking big steps to increase revenue.

রেল এখন একটি নির্দিষ্ট ভাড়া নেবে: নতুন পলিসির অধীনে, CONCOR দ্বারা পরিচালিত বিশেষ ট্যাঙ্ক কন্টেইনারে সিমেন্ট লোড করা হবে এবং সেটি ১০০ কিমি বা ৫০০ কিমি যতদূর ভ্রমণ করুক না কেন, ভাড়া প্রতি টন এবং প্রতি কিলোমিটারে ৯০ পয়সা হবে। অর্থাৎ, দূরত্ব এবং ওজনের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হারের ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা হচ্ছে। পূর্বে স্বল্প দূরত্বে (৩০০ কিলোমিটারের কম) রেলপথে সিমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে লোকসান হত। তবে, রেল এখন পিপিপি মোডে দেশে বাল্ক সিমেন্ট হ্যান্ডলিং টার্মিনাল তৈরি করবে।

আরও পড়ুন: ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা! KKR থেকে মোট কত টাকা আয় করেছেন রাসেল? জানলে চমকে উঠবেন

এই পলিসি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে দেবে: জানা গিয়েছে, গত ১২ মাসে ১২ রেকেরও কম পণ্য পরিবহণ করা শেড বা লুপ লাইনগুলিকেও সংস্কার করা হবে। যদি কোনও কোম্পানি সেখানে গতি শক্তি কার্গো টার্মিনাল (GCT) নির্মাণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে রেল সম্পূর্ণ স্থান প্রদান করবে। সিমেন্ট কোম্পানিগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণ করা হবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁর মতে, “এই নীতি সম্পূর্ণরূপে পরিস্থিতি বদলে দেবে। সিমেন্ট হল এমন প্রথম পণ্য যার জন্য আমরা একটি স্পেশাল লজিস্টিক সলিউশন প্রদান করেছি। ভবিষ্যতে একাধিক শিল্পের জন্য একই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: Banglahunt World Exclusive: শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণার দিন কলকাতার আকাশে হাজির মোদীর বিমান! তারপরে যা হল…

বেশিরভাগ সিমেন্ট ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে পরিবহণ করা হয়: এই প্রসঙ্গে সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অপর্ণা দত্ত শর্মা জানান,” বেশিরভাগ সিমেন্ট ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পরিবহণ করা হয়। পূর্বে, রেলের উচ্চ ভাড়ার কারণে আমাদের ট্রাক ব্যবহার করতে বাধ্য হতাম। তবে, এখন একটি দ্রুত, সস্তা এবং পরিবেশ বান্ধব বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে।” উল্লেখ্য যে, বর্তমানে, মাত্র ১৭ শতাংশ বাল্ক সিমেন্ট রেলপথে পরিবহণ করা হয়। কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশে উন্নীত হবে। প্রধান শহরগুলিতে, শতাংশেরও বেশি সিমেন্ট ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। রেলওয়ে জানিয়েছে যে বিশেষ ওয়াগন সিমেন্ট পরিবহনকে সস্তা করবে এবং দূষণ কমাবে।