ভিড় নিয়ে আর নেই চিন্তা! যাত্রীদের সুবিধার্থে মেগা প্ল্যান ভারতীয় রেলের, জানলে খুশি হবেন

Published on:

Published on:

Indian Railways mega plan for the convenience of passengers.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের যাত্রী সংখ্যা। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রেলের তরফে। এই আবহেই এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেল ২০৩০ সালের মধ্যে দিল্লি, মুম্বাই এবং লখনউ সহ দেশের ৪৮ টি শহরের রেল স্টেশনের ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছে। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সভাপতিত্বে সম্পন্ন হওয়া এক সভায় রেলওয়ে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে, দ্রুত, শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম এই ৩ টি বিভাগে ক্যাটাগরিতে স্টেশনগুলির ধারণক্ষমতা অবিলম্বে দ্বিগুণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই সভায় সমস্ত রেলওয়ে জোনের জিএম এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উচ্চ আধিকারিকদের এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে।

বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways):

এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা মেটাতে এবং যানজট কমাতে এবং তাদের পরিচালনা ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন শহরে কোচিং টার্মিনালগুলি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগ রেল নেটওয়ার্ককে উন্নত করার পাশাপাশি সারা দেশে যোগাযোগও উন্নত করবে। যে তিনটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে, সেখানে এই কাজটি যেখানে এবং যতটা সম্ভব আগে করা যেতে পারে তা অর্জনের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, রেল স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম এবং টার্মিনাল বৃদ্ধির পাশাপাশি, পিট এবং স্ট্যাবলিং লাইনগুলিও সম্প্রসারণ করতে হবে।

Indian Railways mega plan for the convenience of passengers.

স্টেশনের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর: একই সঙ্গে শহরের প্রধান স্টেশনগুলির পাশাপাশি আশেপাশের রেল স্টেশনগুলিতে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। যাতে সমস্ত যানবাহণ প্রধান রেল স্টেশনগুলিতে চাপ সৃষ্টি না করে। এই প্রক্রিয়া শহরতলির এবং শহরতলির নয় এমন উভয় যানবাহনের তাদের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে পরিচালিত হবে। রেল আরও জানিয়েছে যে এই বছর, বিভিন্ন উৎসব এবং উচ্চ চাহিদার দিনগুলিতে ৪৩,০০০-এরও বেশি ট্রেন স্পেশাল ট্রিপ পরিচালনা করেছে। যা গত বছরের প্রায় ২২,০০০-এর থেকে রীতিমতো দ্বিগুণ।

আরও পড়ুন: ক্রিকেটের দুনিয়ায় দুর্ধর্ষ বিশ্বরেকর্ড! বিশ্বের সবচেয়ে সফল T20 অধিনায়ক হলেন হরমনপ্রীত কৌর

টিকিট কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হবে: সূত্র আরও জানিয়েছে যে, রেল তার ব্যবস্থার মধ্যে ভিআইপি কালচার দূর করার জন্য কাজ করছে। এই লক্ষ্যে, মন্ত্রী থেকে শুরু করে জিএম, ডিআরএম এবং অন্যান্য আধিকারিকদের জন্য যে স্পেশাল সেলুন হিসেবে সিঙ্গেল কোচ বিশিষ্ট বিশেষ ট্রেন পরিষেবা মিলত তা বন্ধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১ জানুয়ারি ছিল জন্মদিন! মাত্র ৩৫-এই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন মোহনবাগানের আই লিগ জয়ী ফুটবলার

পাশাপাশি, এই বিশেষ কোচগুলিকে যাত্রীবাহী কোচে রূপান্তর করা হচ্ছে। উচ্চ আধিকারিকদের ‘সেবা’ প্রদানকারী সকল জুনিয়র কর্মচারীকেও তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে তাদের মূল বিভাগে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, টিকিটের জন্য কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হচ্ছে। এদিকে, মেডিক্যাল ইমারজেন্সি এবং অন্যান্য বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতীত, স্বাভাবিক কোটার কনফার্ম রেল টিকিট ব্যবস্থাও বন্ধ করা হচ্ছে।