বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ভারতীয় রেলের পরিষেবা (Indian Railways) আরো আধুনিক এবং আরো উন্নত হচ্ছে রেলের বহর। সেইসাথে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। আর তাই রেল এবার নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে কিছু জায়গায় বেসরকারীকরণের (Privatisation) কাজ এগিয়েছে রেল। সম্প্রতি যাত্রীদের সুবিধার দিক খতিয়ে দেখে আরও এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
উল্লেখ্য, ট্রেনে যাতায়াতের সময় বিভিন্ন সময় রোগীদের ওষুধ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এবার সেই সমস্যা এবার দূর হতে চলেছে। কারণ এবার থেকে রেল স্টেশনেই মজুদ থাকবে সমস্ত ওষুধ। খুব শীঘ্রই স্টেশনে স্টেশন তৈরি হবে ‘জনঔষধি কেন্দ্র’। এর জন্য নীতি কাঠামো প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ৫০টি স্টেশনে তৈরি হতে চলেছে এই জনঔষধি কেন্দ্র। সময়ের সাথে সাথে আরও বৃদ্ধি পাবে এই প্রকল্প। আপাতত দক্ষিণ সেন্ট্রাল রেলওয়ের সেকেন্দ্রাবাদ এবং তিরুপতি স্টেশন, ওডিশার খুরদা রোড স্টেশন এই তালিকায় রয়েছে। রেলসূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ স্টেশনগুলিতেই এই জনঔষধি কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : আপনার সন্তান স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতেসুরক্ষিত কিনা বুঝবেন কি করে?
জানিয়ে রাখি, লাইসেন্স থাকলে এই আউটলেটগুলি পরিচালনার সুযোগ মিলবে। ই-নিলামের দ্বারা সেই লাইসেন্স পাওয়া যাবে বলে খবর। এবং তারপর বিডারদের স্টোর বরাদ্দ করা হবে। ইতিমধ্যেই বিডারদের নিয়ামাবলীও ঠিক করে ফেলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবং ওষুধের স্টোরেজ বা ডিস্ট্রিবিউশন সংক্রান্ত যে সমস্ত নিয়ম বিদ্যমান রয়েছে সেইসমস্ত নিয়মই এখানে লাগু হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন : মাত্র ৯৯ টাকায় আনলিমিটেড ডেটা, বাজার দখল করতে জম্পেশ প্ল্যান লঞ্চ করল Airtel
উল্লেখ্য, জনঔষধি কেন্দ্রের স্টলগুলির ডিজাইন তৈরি করছে আমদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন। এই প্রকল্প ছাড়াও আরও বিভিন্ন স্টেশন ঢেলে সাজানো হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদা, বর্ধমান জংশন, মালদা টাউন, নিউ মালদা জংশন, রামপুরহাট, তারকেশ্বর প্রভৃতি। একাধিক জায়গায় রেল সংলগ্ন জমিতে মাল্টি স্পেশালিটি কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে এই ঢাকুরিয়া স্টেশন। পাশাপাশি কৃষ্ণনগর, মালদা টাউন, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া স্টেশনেরও সংস্করণ হবে বলে খবর।