বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের গণপরিবহণের প্রধান মাধ্যম রেল (Indian Railways) ব্যবস্থা। প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রেন চলাচল করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য রেল ব্যবস্থার থেকে সুরক্ষিত ও সাশ্রয়ী বিকল্প কিছু হয় না। তবে রেল (Indian Railways) ব্যবস্থা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগও নেহাত কম নয়। লোকাল ট্রেন হোক কিংবা দূরপাল্লার, বহু রেলযাত্রী ট্রেন লেট নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ তোলেন। তবে জানেন ভারতের কোন ট্রেনগুলি (Train) লেট করার কারণে রেকর্ড তৈরি করেছে? আজ আমরা এমন কিছু ভারতীয় রেল (Indian Railways) সম্পর্কে জানব যেগুলি সব থেকে লেটে চলে।
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ট্রেন (Train) লেট
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কোটা-পাটনা এক্সপ্রেস। লেট করা নিয়ে এই ট্রেনটি ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে রেকর্ড। এই ট্রেন ২০১৭ সালে নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে ৭২ ঘণ্টা সময় নিয়েছিল। মহানন্দা এক্সপ্রেসের রেকর্ড ভেঙে কোটা-পাটনা এক্সপ্রেস ৭১ ঘণ্টার বেশি কিছু সময়ের পর পৌঁছায় নিজের গন্তব্যে।
আরোও পড়ুন : ‘কাল বিকেল ৫টার মধ্যে…’! ডাক্তারদের কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, তোলপাড় রাজ্য
মুম্বইয়ের দাদার থেকে গোরখপুর যাওয়া একটি স্পেশাল ট্রেন রয়েছে এই তালিকায়। এই ট্রেনটির প্রায় ৩৫ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে ১৮৮১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে। একটি সূত্র বলছে, গড়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা দেরিতে এই ট্রেনটি নিজের গন্তব্যে পৌঁছায়।
আরোও পড়ুন : পুজোর আগে সোনা বর্ষণ! আরও সস্তা হল হলুদ ধাতু, কলকাতায় কত কমল সোনার দাম?
লেট ট্রেনের তালিকায় এরপর নাম আসে নিউদিল্লি-নিউ জলপাইগুড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের। রেলের একটি হিসাব বলছে, ২৭ ঘন্টার বেশি সময় লাগার কথা এই ট্রেনটির গন্তব্যে পৌঁছাতে। তবে এই ট্রেন গড়ে প্রায় ২০ ঘন্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছায়। বছরে গড়ে প্রায় ৩৩৮ মিনিট লেটে এই ট্রেন চলাচল করে।
গুয়াহাটি-ত্রিভান্দ্রাম এক্সপ্রেস হল ভারতের অন্যতম লেট করা ট্রেন। ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও, প্রায়ই এই ট্রেন লেটে চলে। একটি হিসাব বলছে এই ট্রেনটি বছরে গড়ে ৪৮৮ মিনিট লেটে চলে।
দিল্লি আনন্দ বিহার টার্মিনাল জোগওয়ানি সুপারফাস্ট সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বছরে গড়ে প্রায় ৮ ঘন্টা লেটে চলে এই ট্রেন। তাই মাঝে মধ্যে এই ট্রেন বাতিলও হয়ে যায়।