বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় আছে, কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। ঠিক এই কথাটিই বলা চলে ভারতের পক্ষে। বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে নাজেহাল অবস্থা পশ্চিমী দেশগুলির। একাধিক দেশে চলছে অর্থনৈতিক সঙ্কট। তার মধ্যে একাধিক সংস্থা ছাঁটাই করেছে বিপুল সংখ্যক কর্মীদের। সব মিলিয়ে চাকরির বাজারে ব্যাপক হারে মন্দার (Global Recession) পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চারদিকে চাকরির জন্য চলছে হাহাকার।
কিন্তু এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা আশার কথা শোনালেন ভারতের জন্য। জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মন্দার তেমন প্রভাব পড়বে না ভারতে। তার উপর উপরি পাওনা বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ভারতীয় কর্মীদের ক্ষেত্রে। চলতি বছরে ভারতে বেতনের পরিমাণ প্রায় ১০.২ শতাংশ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেতন বাড়তে পারে তথ্যপ্রযুক্তি ও ই কমার্স ক্ষেত্রে। তবে অসংগঠিত ক্ষীত্রের কর্মীরা বিপদে পড়তে পারেন।
মন্দার জেরে তাঁদের বেতন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতে গড়ে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ১০.৪ শতাংশ। বেতন বৃদ্ধি ও মন্দা নিয়ে রিপোর্টটি পেশ করেছে আর্নস্ট ও ইয়ং নামক দুই পেশাদার সংস্থা। প্রতিবছরই তারা ভারতের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। এ বছরের সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে গড়ে ১০.২ শতাংশ বাড়বে বেতন। এর জেরে লাভবান হবেন মূলত তিন ক্ষেত্রের কর্মীরা।
বিশ্বব্যাপী মন্দার আঁচ তেমনভাবে ভারতীয়দের আর্থিক সুরক্ষার উপর পড়বে না বলেই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, ই কর্মাস ক্ষেত্রে চলছে বৃহস্পতির দশা। এই সেক্টরের কর্মীদের বেতন প্রায় ১২.৫ শতাংশ অবধি বাড়তে পারে বলে দাবি। এছড়াও নানা বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত চাকুরিজীবীদের বেতন ১১.৯ শতাংশ অবধি বাড়তে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীদের বেতন ১০.৮ শতাংশ বাড়বে।
এমনই দাবি করা হয়েছে সমীক্ষার রিপোর্টে। বিশ্বব্যাপী মন্দার জেরে বহু নামী দামি সংস্থায় চলছে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আর্থিক মন্দার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গোটা বিশ্ব। তবে ভারত আপাতত অনেকটাই সুরক্ষিত এই অবস্থার থেকে। এদেশে মন্দার তেমন প্রভাব পড়েনি। যদিও কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেটি স্বাভাবিক। প্রসংগত, ২০২২ সালে ১০.৪ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ভারতের কর্মীদের। কিন্তু চলতি বছরে একটু হলেও কমবে বৃদ্ধির হার। পাশাপাশি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিরাও সমস্যায় পড়তে পারেন।