বাংলাহান্ট ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার সংঘর্ষের ঘটনায় সরগরম গোটা দেশ। এই উত্তপ্ত আবহে এ বার চিনের বিরুদ্ধে হুঙ্কার তুললেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, চিনা সামগ্রীর আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে দেশে। ব্যবসায়ীদের সংগঠন চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তরফে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের (Piyush Goyal) কাছে দাবি জানিয়েছে।
ওই ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি, এ বার থেকে জিনিসের আমদানি করা সামগ্রীতে উৎস দেশের নাম উল্লেখ করতে হবে। চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারপার্সন ব্রিজেশ গোয়েল বলেছেন, “আমরা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে একটি চিঠি লিখেছি। তাঁর কাছে আমদানিকৃত পণ্যে তার উৎস দেশের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও নিয়ম নেই। ফলে পণ্য কোন দেশ থেকে তাঁদের কাছে আসছে, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যায় না। এছাড়াও ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলিতেও লেখা থাকে না পণ্যটি কোন দেশের। ফলে ক্রেতাদেরও বিভ্রান্ত হতে হয়। ফলে মানুষ চিনা পণ্যের বিরুদ্ধে হলেও নিজেদের অজান্তেই সেই জিনিস কিনে ফেলছেন।
সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের মাঝে ব্যবসায়ীদের এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। সিটিআই চেয়ারপার্সন বলেছেন, ভারতীয়রা যদি আগে থেকে আমদানি করা পণ্যের উৎস দেখতে পায়, তাহলে চিনা পণ্য বয়কট করতে সুবিধা হবে। কেন্দ্রের কাছে এই নীতি কার্যকার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, ই-কমার্স ও আমদানির নীতিতেও কিছু পরিবর্তন আনার দাবি জানানো হয়েছে।
ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে আরও বলা হয়েছে, চিন ভারতীয়দের থেকেই অর্থ উপার্জন করে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করছে। তাই চিনের অর্থনৈতিক দিক ভেঙে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ভারত ও চিনের মধ্যে ১০৩.৬৩ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়েছে। একইসঙে দেশের অভ্যন্তরীন বাণিজ্যে ৭৫.৬৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ভারত এই সময়ে ৮৯.৬৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদাই করেছে চিন থেকে। যা কিনা আগের থেকে ৩১ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, মাত্র ১৩.৯৭ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় পণ্য রফতানি হয়েছে চিনে। আগের থেকে ৩৬.৪ শতাংশ কমে গিয়েছে এই ব্যবসার পরিমাণ। সিটিআই-এর চেয়ারপার্সন বলেছেন, ভারতীয় ক্রেতা ও বিক্রেতারা চিনা সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ করে দিলেই চিনের উচিত শিক্ষা হবে।