বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিপুলসংখ্যক ভারতীয় আমেরিকায় (America) থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেখানে পড়াশোনা করতে যান আবার অনেকে আবার কর্মসূত্রে পাড়ি দেন। এছাড়াও, ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও প্রতিবছর হাজার হাজার ভারতীয় সফর করেন আমেরিকায়। আগে আমেরিকান ভিসা পাওয়া খুব একটা কঠিন ছিল না। পাশাপাশি, সেটি পকেটেও খুব একটা বেশি প্রভাব ফেলত না। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার কর্তৃক আনা “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল” নামে নতুন আইন বাস্তবায়নের পর, আমেরিকা ভ্রমণ অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
আমেরিকার সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হবেন ভারতীয়েরা:
ইতিমধ্যেই ট্রাম্প এই নতুন আইনটি পাস করেছেন এবং ৪ জুলাই এই বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই আইনের অধীনে, ২০২৬ সাল থেকে একটি নতুন ফি প্রযোজ্য হবে। সেটি হল “ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি”। এটি বাস্তবায়িত হলে, মার্কিন (America) ভিসা আগের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হবে আমেরিকায় যাওয়া শিক্ষার্থী, পর্যটক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কর্মরত প্রফেশনালরা।
পেশাদারদের উপর পড়বে।
ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি কী: এটি একটি নতুন ফি। যার মূল্য ২৫০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২১,৪০০ টাকা)।
এই ফি ২০২৬ সাল থেকে প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি নন-রিফান্ডেবল। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মুদ্রাস্ফীতির হারের ওপর ভিত্তি করে এটি প্রতি বছর পরিবর্তন করা যেতে পারে। ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি বাস্তবায়নের মাধকে যে ভিসার দাম আগে ১৬,০০০ টাকা ছিল, এখন সেটা ৪০,০০০ টাকার ওপরে হতে পারে।
আরও পড়ুন: NDA সমর্থিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দেন বিরোধী সাংসদরাও? সংসদের নথিতে মিলল বড় আপডেট
কাদের এই ফি দিতে হবে: এই নতুন ফি মূলত ইমিগ্রেন্ট নয় এমন ভিসাধারকেদের ওপর প্রভাব ফেলবে।
মূলত, ট্যুরিস্ট থেকে শুরু করে বিজনেস ভিসা (B-1/B-2), পড়ুয়া, চাকরির জন্য আমেরিকা যাওয়া, এবং
এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসা (J) হোল্ডারডেট এই ফি দিতে হবে। শুধুমাত্র কূটনৈতিক ভিসা হোল্ডারদের (A এবং G বিভাগ) এটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: LIC থেকে অংশীদারিত্ব কমানোর পরিকল্পনা সরকারের! কেন এমন পদক্ষেপ? জানুন বিশদে
ট্রাম্প কেন এই নিয়মটি বাস্তবায়ন করলেন: মূলত, আমেরিকার (America) নিরাপত্তা এবং অভিবাসন আইন জোরদার করার জন্য এই নতুন নিয়মটি চালু করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হল বিদেশি নাগরিকরা যেন আইনি নিয়ম মেনে চলেন। এটিকে এক ধরণের সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। এই নীতিটি মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে এবং মুদ্রাস্ফীতির হারের ওপর নির্ভর করে এর পরিমাণ প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে।