বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতা করার অভিযোগ তুলে এসেছে পাকিস্তান। তারা দাবি করেছে, কাশ্মীর হোক বা সীমান্ত, সব জায়গায় নাশকতায় মদত দিয়েছে ভারত (India)। এ নিয়ে ফের চরমে উঠল ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেছেন, ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং সীমান্তে কর্তব্যরত পাকিস্তান সেনার প্রতি নাশকতা করে এসেছে। জাতিসংঘের বৈঠকে তিনি ভারতের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, “ভারতের বোঝা উচিত দুই প্রতিবেশি দেশ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়।”
জাতিসংঘের বৈঠকে পাকিস্তানের এই মন্তব্যের জেরে তাদের এক হাত নিয়েছে ভারতও। পাক-প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘে ভারতের প্রথম সচিব মিজিতো বিনিতো। তিনি এদিন বলেন, “ভারতের প্রতি পাক-প্রধানমন্ত্রীর এই মিথ্যা অভিযোগ খুবই দুঃখজনক। তিনি এই মঞ্চকে ব্যবহার করে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে চাইছেন।”
এদিন মিজিতো বিনিতো আরও বলেন, “পাকিস্তান দাবি করছে যে তারা নিজেদের প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে শান্তি চায়। তাহলে তারা কীভাবে সীমান্তে নাশকতা চালায় এবং মুম্বই নাশকতার মূল চক্রীদের আশ্রয় দেয়?” তিনি পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে জানান, ভারতের প্রতি ভুয়ো অভিযোগ করার আগে তারা নিজেদের অপকর্মগুলির ব্যাপারে জানাক। মিজিতো বিনিতো আরও বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর দাবি করার পরিবর্তে ইসলামাবাদ যেন সীমান্তে নাশকতা রোধ করার উপর জোর দেয়।”
জাতিসংঘের বৈঠকে এদিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর চলা অত্যাচার নিয়েও সরব হয়েছে ভারত। বিনিতো এদিন জানান, হাজার হাজার কমবয়সী সংখ্যালঘু নারীকে অপহরণ করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, “এর থেকে আমরা পাকিস্তানের মানসিকতার ব্যাপারে কী বলতে পারি?”
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও ক্রিস্টান সম্প্রদায়ের মেয়েদের অপহরণ করে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারের দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ করেন বিনিতো। তিনি বলেন, “এটি কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের অধিকার নয়, বরং একটি মানবাধিকার ও সভ্যতার বিষয়।”
জাতিসংঘে এদিন ভারতের প্রথম সচিব বার্তা দেন, ভারত সবসময় শান্তি চেয়ে এসেছে। তবে এটি তখনই সম্ভব যখন সীমান্তে হিংসা কমবে। যখন সরকারগুলি সংখ্যালঘুদের তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবে, তখনই বিশ্বে শান্তি আসা সম্ভব।