বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank) একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে সংস্কারের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। এছাড়াও বেসরকারি বিনিয়োগ এবং মূলধন সংগ্রহের বিকল্পগুলিকেও শক্তিশালী করতে হবে। ফাইনান্স সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট (FSA) শিরোনামের এই রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে যে ভারতের ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো এবং সরকারি প্রকল্পগুলি আর্থিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই এটি ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
রিপোর্ট (World Bank) থেকে কী জানা গিয়েছে:
রিপোর্টে আরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, মহিলাদের যতটা সম্ভব ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহারে উৎসাহিত করা উচিত। এর পাশাপাশি, সাধারণ গ্রাহক এবং MSME অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিভিন্ন আর্থিক পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার প্রদানের ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।

ভারতের আর্থিক ব্যবস্থা শক্তিশালী: এই রিপোর্ট ক্যাপিটাল মার্কেটের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank) মতে, ২০১৭ সাল থেকে ভারতের আর্থিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠেছে। সংস্কারের মাধ্যমে, দেশটি ২০১০-এর দশকের চ্যালেঞ্জ এবং করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইতিমধ্যেই অর্থ মন্ত্রক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তথা IMF এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের যৌথ দলের এই মূল্যায়নকে স্বাগতও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের নন্দনকাননে বঙ্গভূষণ পেলেন সোনার মেয়ে রিচা! CAB-র কাছ থেকে মিলল একগুচ্ছ উপহার
জানিয়ে রাখি যে, পূর্ববর্তী FSAP-র তুলনায় ক্যাপিটাল মার্কেট তথা পুঁজিবাজার উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ইকুইটি, সরকারি বন্ড এবং কর্পোরেট বন্ড সহ, পুঁজিবাজারের আকার GDP-র ১৪৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৭৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। বাজারের পরিকাঠামোর শক্তি এবং বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্যময় ভিত্তি এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: মোক্ষম ঝটকা! অলিম্পিকে খেলার সুযোগই পাবে না পাকিস্তান? মিলল আপডেট
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ফাইনান্সিয়াল সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম হল IMF এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank) একটি যৌথ উদ্যোগ। যা একটি দেশের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং ভবিষ্যৎ মূল্যায়নের জন্য একটি গভীর পর্যালোচনা পরিচালনা করে।












