বাংলা হান্ট ডেস্ক: মোদী সরকারের আমলে দেশের পরিকাঠামো ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ট্রেন পরিষেবা থেকে মেট্রো, বিমান থেকে রাস্তা সমস্ত কিছুই তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎ গতিতে। দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে RapidX ট্রেন সিস্টেম RRTS। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে মিরাট অবধি করিডোর তৈরি করা হয়েছে।
এই রুটে দিল্লি থেকে সাহিবাদ পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধন সম্পূর্ন হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এবার সাহিবাদ থেকে দুহাইয়ের মধ্যে ১৭ কিমি রাস্তার কাজও শীঘ্রই সম্পূর্ন হতে চলেছে। উল্লেখ্য যে, RapidX Rail এর ৭০% রাস্তা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ন হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে দিল্লি থেকে মিরাট অবধি ট্রায়াল শুরু করা হবে।
Rapid রেল আগামী জুন ২০২৫ নাগাদ পুরো রুটে পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডোরের মোট দৈর্ঘ্য ৮২ কিলোমিটার। এরমধ্যে সারাই কালে খান থেকে দিল্লির আনন্দ বিহার পর্যন্ত মোট ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার কাজও প্রায় শেষের দিকে। RapidX রেল-এর মোট রাস্তার ৯ কিমি এলিভেটেড। বাকি অংশের কিছুটা মাটির ওপর এবং বাকিটা রয়েছে মাটির নিচে।
এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য যে, সেকশনের এলিভেটেড অংশের ৭৫% এর বেশি অংশের পিলার এবং মোটামুটি ৫০% ভায়াডাক্টের কাজ সম্পূর্ন হয়ে গিয়েছে। এছাড়া সারাই কালে খান এবং নিউ অশোক নগর স্টেশনের মধ্যে যমুনা নদীর উপর ডিএনডি ফ্লাইওভারের সমান্তরালে একটি র্যাপিডএক্স ব্রিজও (RapidX bridge) তৈরি করা হচ্ছে। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার। সেতুটির জন্য মোট ৩২টি পিলার নির্মাণ করা হচ্ছে।
দিল্লিতে মোট চারটি স্টেশন তৈরি করা হবে। সেগুলো হলো জংপুরা, সরাই কালে খান, নিউ অশোক নগর এবং আনন্দ বিহার। এরমধ্যে ৫ কিমি অংশ থাকবে মাটির নিচে। সেজন্য মোট চারখানা টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। আপাতত তিনটি টানেলের কাজ শেষ হয়েছে, শেষেরটির কাজ চলছে এখনো। উল্লেখ্য, আরো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য র্যাপিড রেলের সাথে যুক্ত থাকবে মেট্রো, বাস, ট্রেন এবং অন্যান্য গণ মাধ্যমের সাথে।