খুলে যাচ্ছে নতুন দিগন্ত! ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি পৌঁছবে ৩৫,২০০ কোটিতে, হতে চলেছে বিপুল বিনিয়োগ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চায় ভারত (India) হু হু করে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-র সাফল্যে বিশ্বমঞ্চে ভারতের গৌরবও বেড়েছে। মহাকাশকে কেন্দ্র করে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy) আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপক বিকশিত হবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ২০৩৩ সালের মধ্যে ৩৫,২০০ কোটি বা ৪৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার ভারতের মহাকাশ দফতরের অধীনে থাকা একটি স্বশাসিত নোডাল এজেন্সি।

সূত্রের খবর, বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ৬,৭০০ কোটি টাকার। ২০২৪ সাল থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় ভারতের মাটিতে মহাকাশ অর্থনীতি কয়েকগুণ বিকশিত হবে। এদিকে, ভারত নানা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণায় দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারত বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেও বদ্ধপরিকর।

India's space economy will reach 35,200 crores

খবর অনুযায়ী, মহাকাশ চর্চায় আগামী ৯ বছরে ভারতে ১৭,৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার বা ইন-স্পেস-এর চেয়ারম্যান ড. পবন গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, “মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণকে গুরুত্ব দিতে কৌশল গৃহীত হয়েছে। মহাকাশ অর্থনীতির সফল রূপায়ন ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ধারণাকে ভবিষ্যতে শক্তিশালী করবে”।

আরও পড়ুন: বিশ্বে সবথেকে বেশি গৃহহীন মানুষ রয়েছেন এই দেশে! তালিকায় একাধিক পড়শি দেশ, ভারতের স্থান কত?

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে ভারত সরকার ভারতের মহাকাশ নীতি তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি এবং মহাকাশ দফতরের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, “২০৪০ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ৪০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে”। এদিকে, ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান ২০২০ সাল থেকে সমৃদ্ধি লাভ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২০ সালে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ছিল ৯.৬ বিলিয়ন ডলারের। যা বিশ্বের মহাকাশ অর্থনীতির ২ থেকে ৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০২৫ সাল থেকে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি বিকশিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেটি ১৩ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ১০ শতাংশ বিকশিত হবে।

আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির

জানিয়ে রাখি যে, ভারতে মহাকাশ ক্ষেত্র নিয়ে স্টার্টআপের সংখ্যা ২০১২ সালের পর থেকে ক্রমাগত হারে বাড়ছে। সূত্রের খবর, ২০১২ সালে ভারতে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে স্টার্টআপের সংখ্যা ছিল মোটে একটি। ২০২৩ সালে স্টার্ট আপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৯টিতে।কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২১ সালে স্টার্টআপগুলির ফান্ড ছিল ৬৭.২ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে স্টার্টআপগুলির ফান্ড দাঁড়ায় ১২৪.৭ মিলিয়ন ডলারে। মহাকাশ ক্ষেত্রে আগামী ১০ বছরে স্টার্টআপ আরও বিকশিত হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ভারতে মহাকাশ অর্থনীতির বিকাশের ফলে আগামীদিনে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে। ভারতে জিডিপির ০.০৪ শতাংশ মহাকাশ ক্ষেত্রে ব্যয় হয়। এক্ষেত্রে সারা বিশ্বের নিরিখে ভারত সপ্তম স্থানাধিকারী বলে জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর