আক্রান্ত হয়েছেন পোলিওতে, তবুও মানেন নি হার! এখন হাজার কোটি টাকার মালিক ইনি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কোনো ব্যক্তি চাইলেই কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার জেরে পৌঁছতে পারেন সফলতার শীর্ষে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাই হোক কিংবা পারিপার্শ্বিক, সমস্ত কিছুকেই যে জয় করা সম্ভব তা সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ইনি।আজ আমরা আপনাকে এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যিনি একসময় একটি ছোট ছবির দোকান চালিয়ে দিন গুজরান করতেন। কিন্তু, আজ তিনি কঠোর সংগ্রামের পর হাজার কোটি টাকা মূল্যের “বিশাল মেগা মার্ট”-এর মালিক হয়েছেন।

এই উত্তরণের কাহিনির নায়ক হলেন রামচন্দ্র আগরওয়াল। রামচন্দ্র শৈশব থেকেই একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। একদম ছোটবেলায় পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাই, এই দুর্বলতার কারণে, তিনি ভারী কাজ করতে পারতেন না। যেই কারণে প্রথমে তিনি একটি ছোট ফটোকপির দোকান খোলেন।প্রায় এক বছর ধরে, রামচন্দ্র আগরওয়াল এই দোকান চালিয়েছিলেন। তারপরে তিনি অনুভব করেছিলেন যে, এভাবে তিনি কখনই জীবনে এগোতে পারবেন না। তাই, তিনি কলকাতার লাল বাজারে একটি কাপড়ের দোকান খোলেন। আর এই কাপড়ের দোকানটি প্রায় ১৫ বছর যাবৎ চালিয়েছেন রামচন্দ্র।

যদিও, এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। বরং, কলকাতার বাজার থেকে বেরিয়ে এসে দিল্লির বড় বাজারে তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেন রামচন্দ্র। সেই মত ২০০১ সালে তিনি দিল্লির বাজারে আসেন এবং বিশাল রিটেল নামে একটি ছোট আকারের খুচরো ব্যবসা শুরু করেন। ওই ব্যবসায় সফলতা পেয়ে পরের বছরই তিনি “বিশাল মেগা মার্ট” নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শুরু করেন।

এই কারণে রামচন্দ্র শেয়ার বাজার থেকে একটি বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন এবং দুর্ভাগ্যবশত তাঁকে সেই সময় ৭৫০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু এই ক্ষতি দেখে নিরুৎসাহিত না হয়ে রামচন্দ্র ধৈর্য ধরেন কারণ তিনি জানতেন যে, ব্যবসায় লাভ-লোকসান ঘটতেই থাকে।

RAM4 6114a9a0c6f47

যদিও, ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল না। ২০১১ সালে শ্রীরাম গ্রুপের কাছে V-Mart প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে বিক্রি করতে হয়। তারপরেই রামচন্দ্র আগরওয়াল V2 রিটেল নামে একটি নতুন সংস্থা শুরু করেন এবং এটিকে সফল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন।।

আজ V2 রিটেল ভারতের বৃহত্তম কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। ইতিমধ্যেই ভারতের ১৭ টি রাজ্যে এর ৯৬ টি স্টোর চলছে। রামচন্দ্র আগরওয়াল যেভাবে তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের জোরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্বেও সফলতা অর্জন করেছেন তা নিঃসন্দেহে সকলের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর