বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে (Pakistan) মুদ্রাস্ফীতি (inflation) আবারও আকাশ ছুঁয়েছে। আর এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রতিদিনের খরচ মেটাতেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অবস্থা এমন যে, দেশে খাদ্য ও পানীয়ের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর (PBS) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১১.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২.৩ হয়েছে, যা গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। PBS তাঁদের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ১ জানুয়ারী ২০২২-এ জারি করেছে।
‘দ্য ডন” পত্রিকায় পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে যে, গত ২১ মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে বেড়েছে। যদিও, এর কারণ হিসেবে বৈশ্বিক মঞ্চে তেলের দাম বৃদ্ধিকেই দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, দেশের ইতিহাসে তেলের দাম এতটা বাড়তে কোনদিনও দেখা যায়নি। আর এই কারণেই এর প্রভাব সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়েছে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহনের খরচ বেড়েছে, যার প্রভাব অন্যান্য জিনিসেও দেখা যাচ্ছে। দুই বছরে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এটিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব শুধু খাদ্যদ্রব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশে বিদ্যুতের দাম, বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ও অন্যান্য বিষয়ে সাধারণ মানুষের ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। পিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে গ্রামাঞ্চলে তা ৯ শতাংশ। বর্তমানে দেশে রান্নার তেলের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, ফলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ, গমের আটার দাম প্রায় ৩-৫ শতাংশ, ডালের দাম প্রায় নয় শতাংশ।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ইস্যুতে ইমরান খানকে কটাক্ষ করছে বিরোধী দলগুলো। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন পাকিস্তানের বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফ। একই সঙ্গে পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলছেন, ইমরান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছেন।