কাঠুয়াতে আসিফা হত্যাকাণ্ডে হিন্দু সমাজকে বদনাম করতে পুরো বলিউড ও জেহাদী গ্যাং নেমে পড়েছিল। মন্দিরে ধর্ষণ হয়েছে এবং কাঠুয়ার ৩ হিন্দু যুবক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও দেশের কট্টরপন্থীরা। এখন কাঠুয়া কাণ্ডের সত্য ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে। আসলে পুরো ঘটনায় পুলিশ মিথ্যা মামলায় হিন্দু যুবকদের ফাঁসিয়েছিল বলে খবর সামনে আসছে। জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আদালত এই কেসের উপর তদন্ত করা জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের SIT এর বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করার আদেশ দিয়েছে। অভিযোগ আছে যে Special Investigatiion Team তিনটি যুবককে বলপূর্বক বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছিল এবং এর জন্য তাদের উপর নির্যাতনও চালিয়েছিল।
ন্যায়বিচারের মূল নীতিটি হল দোষীরা ছাড়া পেয়ে গেলেও কোনো নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। এখন কাঠুয়া কাণ্ডে পুলিশ যে হিন্দু যুবকদের গ্রেফতার করেছিল তারা নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছে। কাঠুয়া কাণ্ডের সময় একমাত্র জি নিউজের সুধীর চৌধুরীর টিম দাবি করেছিল যে SIT ভুল করছে। জি নিউজের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে আদালত চলতি বছরের ১০ জুন মামলার মূল আসামি বিশাল জঙ্গোত্রাকে খালাস দিয়েছিল এবং জি নিউজের প্রতিবেদনের প্রশংসা করেছিল। এই বিশাল জঙ্গোত্রার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার জন্য SIT এর তিন যুবককে নির্যাতন করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
এখন কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় জম্মুর আদালত এই মামলার তদন্তকারী এসআইটির সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর রেজিস্ট্রি করার নির্দেশ দিয়েছে। জম্মু জুডিশের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রেম সাগর তিন আবেদকের আবেদন শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন। এই যুবকদের যারা আবেদনটি দায়ের করেছিলেন তাদের নাম হলেন শচীন শর্মা, নীরজ শর্মা এবং সাহিল শর্মা। তাঁর আর্জি অনুসারে, এই সমস্ত করা হয়েছিল যাতে কাঠুয়া ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বিশাল জঙ্গোত্রার বিরুদ্ধে এই মামলায় ভুয়া প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়। এরা তিনজনই উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে বিশাল জঙ্গোত্রার সাথে পড়াশোনা করতেন।
অভিযোগ অনুসারে, SIT চেয়েছিল এই তিন জনই বিশালের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিক এবং বলুক যে যেদিন ভিকটিমের লাশ বনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সেদিন বিশাল জাঙ্গোত্রা মুজাফফরনগরে নয় বরং জম্মুতে উপস্থিত ছিল। অর্থাৎ আসল সত্য লুকিয়ে মিথ্যা বলানোর চেষ্টা করানো হয়েছিল।
জম্মুর আদালত আগামী ৭ নভেম্বর কাঠুয়া মামলার SIT তে যুক্ত থাকা ৬ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি করবে।