বাংলাহান্ট ডেস্ক : খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে চীনের একটি ২৬ তলা ভবন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কী এমন রয়েছে সেই ভবনে ? প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওর দৌলতে জানা গিয়েছে, এই ২৬ তলার ভবনটি বিশাল শূকর খামার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সে দেশের সরকার দাবি করেছে, ‘পিগ প্যালেস’ নামে পরিচিত ভবনটি এই মাসের শুরুতে খোলা হয়েছে এবং এতে ৬৫০,০০০ প্রাণী থাকতে পারে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, হুবেই প্রদেশের ইঝোতে খোলা এই ভবনটি কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আনার জন্য স্থানীয়দের তরফে চালু করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাটির জন্য খরচ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড।
জানা গিয়েছে, খামারটি দুটি ভবন নিয়ে গঠিত, প্রতিটি ২৬ তলা বিশিষ্ট। প্রকল্পের প্রচারকারীরা বলছেন যে প্রতিটি তলায় প্রায় ২৫০০০ পশু রাখা হবে। তারা বলছেন, এটি পুরোপুরি চালু হলে খামারটি একসঙ্গে ১,০০,০০০ টন মাংস প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম হবে। এই ‘আধুনিক’ শূকরের খামার, সারা দেশের বৃহৎ খামারের মধ্যে একটি। চীনে শুকরের মাংসের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এটি চালু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চীনের পশুপ্রেমীদের এই স্বয়ংক্রিয় খামার নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। তারা অনেকেই আশঙ্কা করছেন শূকরগুলোকে কারখানার মতো অবস্থায় রাখা হবে। স্থানীয় হুবেই টিভির সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, সাইট ম্যানেজার জুগে ওয়েন্ডা বলেছিলেন যে ওই ভবন সংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য জল শোধন করা হয়।
পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, আমাদের বায়োসিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম মাংসের মান উন্নত করে। চীনে শূকর ছাড়া অনেক প্রাণীর মাংস খাওয়া হয়। মানুষ এখানে কুকুর, বিড়ালের মতো পোষ্য প্রাণীকেও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল অনুমান করে যে চীনে প্রতি বছর ১ থেকে ২০ মিলিয়ন কুকুর মারা হয়। এখানে একটি প্রাপ্তবয়স্ক কুকুরকে ১০০ পাউন্ডে (প্রায় ১০ হাজার টাকা) স্যুপ বা স্টুতে রান্না করা হয়।