চিনে ইসলাম, পয়গম্বরকে অপমান! সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিমদের ট্রোল করছে ‘৫০ সেন্ট আর্মি’

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিনের (China) টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামলাতে পয়গম্বর এবং ইসলামকে (Islam) অপমান করার পথ গ্রহণ করেছে চিন। চিনের এই কার্যকলাপ চলছিল বহু দিন ধরেই। এবার তা প্রকাশ্যেই করতে শুরু করেছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার (CPC)। এই কাজে চিনের বিখ্যাত ৫০ সেন্ট আর্মিকেও কাজে লাগিয়েছেন জিন পিং (She Jinping)। রাষ্ট্রসংঘ (UN) সহ আরও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে উঠে আসছে এমনই বিপজ্জনক তথ্য। অভিযোগ, চিনের মানুষের ইসলামোফোবিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে চাইছেন রাষ্ট্রপতি।

কী এই ৫০ সেন্ট আর্মি? ৫০ সেন্ট আর্মি হল চিনের এক রকম সাইবার সেল। এই সংস্থা মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর কাজ করে থাকে। আর এই এদের মূল লক্ষ্য হলো উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই মুসলিম সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদী, আতংকবাদী আখ্যা দিয়ে থাকে। এদের মূলত কাজই হলো ইসলামোফোবিয়াকে হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগানো। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল, এত কিছু জানার পরও, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও আরবের মতো মুসলিম রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে চিনের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, উইঘুর মুসলিম বিতর্কে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ সমর্থন চিনের সঙ্গে রয়েছে বলে জানা যায়।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানায়, চীন সরকার গোপনে বহু উইঘুর মুসলিম স্কলারের সঙ্গে অন্যায় করেছে। শিনজিয়াং প্রদেশে বিশিষ্ট উইঘুর ব্যক্তিত্বদের গত কয়েক বছরে আটক খুন হয়ে গেছেন। কয়েকজন হলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. সালিহ হাজিম, অর্থনীতির বিজ্ঞানী ইলহাম তোকতি, নৃতাত্ত্বিক রাহাইল দাউদ, সঙ্গীতশিল্পী ও বেহালার স্টার আবদুর রহিম হায়াত, ফুটবলার এরফান হিজিমসহ অজানা অনেকেই।

ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস বিষয়ক কমিটি ২০১৮ সালের শেষে এক প্রতিবেদনে জানায়,১০ লাখ উইঘুরকে চীনের ‘সন্ত্রাসবাদ সংশোধন’ সেন্টারগুলোতে আটক রাখা হয়েছে। আর ২০ লাখ মানুষকে ‘রাজনৈতিক ও দীক্ষাদান কেন্দ্রে’ থাকতে ও ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হচ্ছে।

অর্থাৎ নারী-শিশু ছাড়া কেউ বাদ নেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, যে সব লোকজনের ২৬টি বাইরের দেশে আত্মীয়-স্বজন আছেন তাদের এ সব ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান এখন যে আরও ভয়াবহ হবে তা বলাই যায়।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর