বাংলাহান্ট ডেস্ক: তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি (SSC) এবং টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে সমালোচনা, নিন্দা, প্রতিবাদে মুখর আমজনতা থেকে তারকারা। অথচ দৃষ্টিকটু ভাবে নীরব ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা (Intellectual)। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে বুদ্ধিজীবীদের এই নীরবতাকে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই। অবশেষে প্রতিবাদের সুর শোনা গেল তাঁদের কণ্ঠেও।
শনিবার নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বুদ্ধিজীবীরা। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, মানসী সিনহা, চন্দন সেন, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। পরিচালক অনীক দত্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা।
রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের তরফে ঘোষনা করা হয়েছে, আগামী সোমবার দুর্নীতি ইস্যুতে মিছিল করা হবে। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মেয়োরোড পর্যন্ত হবে মিছিল। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, শচীন সেনগুপ্তের ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে রয়েছে ‘বাংলার আকাশে আজ মেঘের ঘনঘটা’। বাংলার ক্ষেত্রে এই কথাটাই মর্মান্তিক ভাবে সত্যি হয়ে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য শুধু দেশ নয়, গোটা পৃথিবীর কাছে বাঙালির মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।
অভিনেতা রাহুল বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশেই তোপ দেগেছেন। তাঁর কটাক্ষ, বুদ্ধিজীবীদের ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’। অন্যদিকে অভিনেতা জয়রাজ ভট্টাচার্য নিশানা করেছেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। তাঁর স্পষ্ট কথা, ব্রাত্য বসু কিছুতেই দায় এড়াতে পারেন না। কারণ শেষের দিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। ব্রাত্য বসু বলেছিলেন যে শুধু তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবেন।
অতি সম্প্রতি বুদ্ধিজীবীদের নিশানা করে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। কারোর নাম না করেই অভিনেতা তথা বিজেপির তারকা সদস্য সুর চড়িয়েছেন, লেখক-কবিরা আজ চুপ কেন? ঘুমিয়ে গেলেন নাকি? ভাতা পেয়ে দাতার ভয়ে লজ্জা পাওয়া বাকি!
সেই চেনা সাদা কালো ভিডিওতে ক্যামেরার সামনে বসে নিজের লেখা ব্যঙ্গাত্মক কবিতা আউড়িয়েছেন রুদ্রনীল। তাঁর অভিযোগ, এই বুদ্ধিজীবীরা সুর চড়ালে, প্রতিবাদ করলে বগটুই, হাঁসখালি হত না। আনিস খানকে মারার আগেও দুবার ভাবত হত্যাকারীরা।