বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। তার বিরুদ্ধেই এবার দুর্নীতির অভিযোগ সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সূত্রের খবর, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন সেই বিষয়ে নবান্নকে চিঠি পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবলায়। যা নিয়ে তুঙ্গে চর্চা।
বিজেপির জগন্নাথের বিরুদ্ধে নবান্নকে বেনজির চিঠি | Jagannath Chattopadhyay
জানা যাচ্ছে, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেন, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জন ইত্যাদি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের উল্লেখ করে ২ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনের আন্ডার সেক্রেটারি গৌতম কুমার নবান্নে একটি চিঠি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, অভিযোগপত্রটি পাঠিয়েছেন উদয় সিংহ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিজেপিরই একজন সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন। হাওড়ার বাসিন্দা উদয় সিংহ একজন সমাজকর্মী বলেও জানা যাচ্ছে। তিনি বিস্তারিত অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতির দপ্তরে।
অভিযোগপত্রে কী বলা হয়েছে? অভিযোগপত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, কিছু দিনের মধ্যেই বেআইনিভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ, তিনি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও গোপনে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। পরিবারের নামে বিপুল সম্পত্তি কিনেছেন।
আরও অভিযোগ, বিজেপির এই নেতা দলের টাকা আত্মসাৎ করার পাশাপাশি তিনি দলীয় গোপন তথ্য তৃণমূলের কাছে বিক্রি করেছেন। নবান্ন যাতে এই সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে যথাযথ পদক্ষেপ করে সেই লক্ষ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আর্জি সমূহ :
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে বলা হয়েছে, তার সমস্ত সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখা হোক। পাশাপাশি ভুয়ো বুথ কমিটির খোঁজ করে টাকা কোথায় গেছে, তা যাতে তদন্ত করে দেখা হয় সেই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দলীয় তথ্য পাচার নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে দেখুক। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দল থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি যাতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই আর্জিও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কসবা থেকে কাকদ্বীপ– কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’-এর দাপটই কি নিয়োগের চাবিকাঠি? বিস্ফোরক শুভেন্দু
যদিও, জগন্নাথের বিরুদ্ধে এই চিঠি প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এখানে উল্লেখ্য, নবান্নের তরফেও চিঠিটির আনুষ্ঠানিক প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়নি। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের রাজ্য সংগঠনের কোনও পদাধিকারী একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি ভবনে দুর্নীতির অভিযোগ জানানো বা তার প্রেক্ষিতে চিঠি আসার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।