বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে অভিষেক না করেও বেশ চর্চায় থাকেন আমির খান (aamir khan) কন্যা ইরা খান (ira khan)। বহুবার বহু বিতর্ক, সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। কোনো না কোনো বিষয়ে প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ইরার নাম।
এবার ফের পেজ থ্রির পাতায় উঠে এসেছেন ইরা খান। কিছুদিন আগেই দীর্ঘদিনের প্রেমিক মিশাল কৃপলানির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর। সেই বিচ্ছেদ নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার শোনা যাচ্ছে ফের সম্পর্কে জড়িয়েছেন ইরা। তাও আবার নিজের ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের ফিটনেস কোচ নূপুর শিখরের সঙ্গে এই মুহূর্তে সম্পর্কে রয়েছেন আমির কন্যা। লকডাউনের সময়েই একে অপরের কাছাকাছি আসেন তাঁরা। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে, বাবা আমিরের মহাবলেশ্বরের ফার্ম হাউসে নূপুরের সঙ্গে একত্রে ছুটিও কাটিয়ে এসেছেন ইরা। তাঁদের এই সম্পর্কের বিষয়ে জানেন ইরার মা রীনা দত্তও।
https://www.instagram.com/p/B8QD20EgcLI/?igshid=taetdzudj2jk
মিশাল কৃপালনির সঙ্গে দু বছর সম্পর্কে ছিলেন ইরা। একসঙ্গে প্রায়ই ছবি শেয়ার করতে দেখা যেত তাঁদের। কিন্তু ইরা নিজের কেরিয়ারের দিকে মনোযোগ দিতেই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়, এমনটাই জানা গিয়েছে। বাধ্য হয়েই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন ইরা।
https://www.instagram.com/p/CHratARpvcr/?igshid=edtnx910pks7
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অবসাদগ্রস্ততা ও টিন এজ বয়সে ঘটে যাওয়া এক ভয়ঙ্কর কাহিনি ইরা তাঁর অনুরাগীদের সামনে তুলে ধরেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই যৌন হেনস্থার মতো ভয়াবহ ও ঘৃণ্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ইরাকে। ভিডিওতে মানসিক অবসাদ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় আমির কন্যাকে।
https://www.instagram.com/p/CGl8tvEJsGN/?igshid=15jzk068rd7a
এত বড় একজন সুপারস্টারের মেয়ে তিনি। জীবনে এত সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মনমরা হয়ে থাকেন কেন, এমনই সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল ইরাকে। সেই সব যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতেই এই ভিডিও করেন ইরা।
ভিডিওতে ইরা জানান, তাঁর যখন ১৪ বছর বয়স সেই সময় তাঁকে যৌন হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়। সেই সময় তিনি কিছুই বুঝতেন না এই বিষয়ে। যৌন হেনস্থা কি, তাঁকেই বা কেন এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারেননি তিনি।
তখন বাবা মাকে সবটাই ইমেল মারফত জানিয়েছিলেন ইরা। বাবা মা ই তাঁকে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার স্মৃতি থেকে বেরোতে সাহায্য করেন বলেও জানান ইরা। অবসাদ থেকে বেরোনোর পর আর তেমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়নি বলেও জানান তিনি।