বাংলা হান্ট ডেস্ক : সমস্ত জল্পনা সত্যি করে অবশেষে শুরু হয়ে গেল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel Tension)। শনিবার মিসাইল ও ড্রোন নিয়ে পুরদস্তর হামলা শুরু হল ইজরায়েলের উপর। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা, ভেঙে পড়েছে আয়রন ডোম। শুরু হয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা।
ইতিমধ্যেই হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান। একই সাথে তেহরানের হুমকি, যে দেশ ইজরায়েলের সমর্থনে মাঠে নামবে তাদেরও ভুগতে হবে। যদিও চুপ বসে থাকার দেশ নয় ইজরায়েল। পাল্টা জবাবে উড়ে যাচ্ছে মিসাইল। রাতের অন্ধকার কেঁপে উঠছে বারুদের ঝলকানিতে। ইরানি ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করতে তৎপর ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও।
এইদিন এক বিবৃতি জারি করে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর জানিয়েছে, এই হামলা মূলত প্রত্যুত্তর। সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইজরায়েল যে বোমা বর্ষণ করেছিল এটা মূলত তার পাল্টা জবাব। এই যুদ্ধের মাঝে আমেরিকা যাতে কোনভাবেই নাক না গলায় সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তেহরান। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন : ২৫ কোটি জলে, অনুশীলনেও এলেন না স্টার্ক! KKR-র একাদশে তিন বদলের সম্ভাবনা
এইদিন ঘটনার পর একটি বিবৃতি জারি করে হামলার কথা স্বীকার করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি ফৌজের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ‘ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। আমরা সমস্ত ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি।’ ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে ফ্রান্স ও ব্রিটেনও। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি ড্রোন বা মিসাইলের দেখা মিললেই তা ধ্বংস করে দিচ্ছে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলোকে। সেই সাথে দুপক্ষকেই যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন : মুম্বইকে চাপে রাখতে জনগর্জনই অস্ত্র, সবুজ মেরুন ভক্তদের জন্য বিরাট সুখবর, বড় সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের
কূটনীতিকদের মতে, ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে তেহরান। এর আগে হামাসকে ক্রমাগত মদত জুগিয়েছে তারা। আর এবার যাতে মধ্যেপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি একসঙ্গে ইজরায়েলকে কোণঠাষা করে সেই চেষ্টাই করছে ইরান। এমন আবহে ভারত একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইজসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈরিতা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা উভয় দেশকে এই সংঘাত থেকে সরে আসার এবং তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আলোচনার জন্য আবেদন জানাই। বিদেশ মন্ত্রক এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই অঞ্চলে আমাদের দূতাবাসগুলি ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করছে। এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’