বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাগ্যের পরিহাসে কখন কাকে যে কি সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তা কেউ আগে থেকে বলতে পারেনা। বহু মানুষ আছেন যারা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে নিঃস্ব ফকির হয়ে গিয়েছেন। আবার এমন অনেক লোক আছেন যারা ভিখারি থেকে হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি। সবই ভাগ্যের খেলা। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা যার কথা বলতে চলেছি তিনি এক সময় ছিলেন চীনের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু বর্তমানে তিনি ৫২ কোটি টাকার ঋণগ্রস্ত এক মানুষ।
আমরা কথা বলছি চীনের বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সী তাং জিয়ান সম্পর্কে। তিনি কিছু সময় আগে পর্যন্ত চুটিয়ে ব্যবসা করছিলেন। বিশাল রেস্তোরাঁর চেইন ছিল তাঁর। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন মাত্র ৩৬ বছর বয়সে। কিন্তু ভাগ্যের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরে যায় ২০০৫ সালে।
আপনারা হয়ত জানলে অবাক হবেন যে, একসময়ের কোটিপতি এই ব্যবসায়ী বর্তমানে রাস্তার ধারে একটি ছোট্ট দোকান চালিয়ে কোনো রকমের দিন কাটাচ্ছেন। একটা সময় এমন দাঁড়ায় যে ঋণ শোধ করার জন্য জিয়ানকে রেস্তোরাঁ, বাড়ি, গাড়ি সবকিছু বিক্রি করে দিতে হয়। এরপরও ৫২ কোটি টাকার ঋণ থেকে যায় তার মাথার উপর।
জিয়ান দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর গ্রিলড সসেজ বিক্রি করেন রাস্তার ধারে একটি দোকান খুলে। একটা সময় নিজের রেস্তোঁরার সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে কিনা দেখাশোনা করলেও বর্তমানে তিনি এই দোকানে নিজের হাতে খাদ্য পরিবেশন করেন গ্রাহকদের। পাশাপাশি খাবারের প্লেটও পরিষ্কার করতে হয় তাকে।
https://youtu.be/VbsJSyL0QzA
একটি সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জিয়ান এমন একটি শিল্প ক্ষেত্রে টাকা লাগিয়েছিলেন যা সম্পর্কে তার আন্দাজ ছিল না। বহু মানুষের আপত্তি সত্ত্বেও জিয়ান ল্যান্ডস্কেপ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পর তিনি দেউলিয়া হয়ে যান।