বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এবার সরকার গঠনের পালা। বুধবার INDIA জোটের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, তারা বিরোধী আসনে বসবে। এবার শনিবার কংগ্রেসের সংসদীয় দল বৈঠকে বসতে চলেছে। সেখানে হাজির থাকবেন দলের সকল নবনির্বাচিত সাংসদ। লোকসভায় দলের নেতা কে হবেন? সেটা এই বৈঠকেই ঠিক হবে বলে খবর। তবে এর মাঝেই সামনে এল বড় খবর। INDIA জোটের মধ্যে কি অন্য কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই রাজ্য থেকে ওই রাজ্যে ‘ছুটোছুটি’ দেখে শুরু হয়েছে এই জল্পনা।
বুধবার INDIA জোটের বৈঠকে TMC প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষের পর তৃণমূল (Trinamool Congress) সেনাপতির তরফ থেকে বেশ কিছু তৎপরতা দেখা যায়। প্রথমে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের বাড়ি যান তিনি। এরপর আম আদমি পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দিল্লিতে দুই বৈঠকের পর সোজা মুম্বই উড়ে যান তৃণমূল সেনাপতি। সেখানে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন।
দিল্লি টু মুম্বই, শরিক দলের একাধিক নেতার সঙ্গে অভিষেকের এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। দেখা দিয়েছে নানান রকম প্রশ্ন। তাহলে কি INDIA জোটে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে? নাকি জোটের মধ্যেই ‘কংগ্রেস বিরোধী’ (Congress) জোট গড়ে তুলতে চাইছেন TMC সেনাপতি? শুরু হয়েছে সেই চর্চা।
আরও পড়ুনঃ ‘বাবা রে বাবা, আর কোনোদিনও..,’‘ভুলভাল’ ভবিষ্যদ্বাণীর পর এবার ‘বড় ঘোষণা’ পিকে-র
কংগ্রেসকে চাপে রেখে জাতীয় স্তরে কি তৃণমূলকে INDIA জোটের কাণ্ডারি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে? সেই সম্ভাবনাও দেখা দিতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘কেউ কোথাও যেতেই পারে। এদিক ওদিক যাওয়া, ঘুরে বেড়ানো করতেই পারে। সর্বভারতীয় স্তরে যারা নেতৃত্ব রয়েছেন তাঁদের স্ক্যানারে সবটাই ধরা পড়বে। তবে যে যাই করুন না কেন,কংগ্রেস দল, এই নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই’।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে চমকপ্রদ ফলাফল করেছে INDIA জোট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। মহারাষ্ট্রের সাংলির সাংসদ ইতিমধ্যেই এই দলকে সমর্থনপত্র দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের শক্তি বেড়ে হয়েছে ১০০। বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদবও কংগ্রেসকে সমর্থন দিতে পারে বলে খবর। সেক্ষেত্রে তাদের শক্তি আরও বাড়বে।
INDIA জোটের সবচেয়ে ভালো ফলাফল করা শরিক দলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি। তিন নম্বর রয়েছে TMC-র নাম। অর্থাৎ এখনও অবধি অভিষেক যে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁদের মিলিত শক্তি হল ৭৮। অন্যদিকে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ৯৯টি আসন।
সবচেয়ে বড় কথা হল, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের দলের সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসের। শিবসেনার ক্ষেত্রেও চিত্রটা এক। অন্যদিকে ২০২৪ লোকসভা ভোটে পাঞ্জাব বাদে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস একত্রে লড়েছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে একা লড়াই করেছে TMC। তাই জোড়াফুল শিবির যদি ‘কংগ্রেস বিরোধী’ বিকল্প জোট তৈরির পরিকল্পনা করেও থাকে, তাহলে সেটা কতখানি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে কিন্তু সংশয় রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।