বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল ছিল মহারণ। অবশ্যই সেটা বঙ্গ বিজেপির (BJP) জন্য। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল সাজ সাজ রব। আর হবে নাই বা কেন? গতকালই যে বিজেপির বহু প্রতীক্ষিত নবান্ন অভিযান (Nabanna Rally of BJP)। এই অভিযান ঘিরে উত্তাল ছিল কলকাতা। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলেছে গেরুয়া শিবিরের এই অভিযানের। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল বিজেপির এই কর্মসূচী কি আদৌও সফল? নাকি হাঁকডাকই সার! লক্ষমাত্রা পূরণে ডাঁহা ফেল নবান্ন অভিযান? দেখে নেওয়া যাক কী বলছে রাজনীতির মার্কশিট?
১) লোক সমাগম : বিজেপির দাবি তারা যতটা আশা করেছিলেন তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ভীড় হয়েছিল এই অভিযানে। সন্ধ্যায় এক টিভি চ্যানেলে বসে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা দাবী করলেন শুধু বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই নন, এই অভিযানে যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অন্তত দেড় লক্ষ মানুষকে কলকাতায় ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন অভিযানে তো লোকই হয়নি। কলকাতা মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের দাবি উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে লোক এনে মাঠ ভরাতে চেয়েছে বিজেপি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে লোকসমাগম যথেষ্ট ভালো হয়েছে, নাহলে এত পুলিশ, এত গার্ডরেল, এত নিরাপত্তার দরকারই ছিল।
২) নেতৃত্ব : ‘ডোন্ট টাচ মি, আই এম মেল’, গতকাল প্রায় সারাদিন শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে নিয়ে চলেছে রাজনৈতিক তর্জা। এক মহিলা পুলিশ কর্মীকে তাঁর গায়ে হাত দিতে বারণ করেন বিরোধী দলনেতা। এটা নিয়েও উঠে আসছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন একজন পুরুষের মতই আচরণ করেছেন শুভেন্দু। তবে গতকাল শুভেন্দুর নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলে শুভেন্দুর শুধু ‘মুখে মারিতং জগতং কাজের বেলায় কিছু নেই।’ তবে একথা বলা যায়, গতকাল বিজেপি নেতৃত্বের উপর প্রশ্ন উঠলেও সাধারণ কর্মী সমর্থকদের লড়াই ছিল দেখার মতো। পুলিশের মার খেয়েও শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তাঁরা।
৩) বিজেপির লক্ষ্য : বিজেপির কি লক্ষ্য পূরণ হলো? এই প্রশ্নে কিন্তু বিজেপিকে ফুল মার্কস দিতে রাজি ওয়াকিবহাল মহল। দীর্ঘদিন পর দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহার মতো নেতাদের একই কর্মসূচীতে পা মেলাতে দেখা গেল। এটা কিন্তু আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে বেশ খানিকটা অক্সিজেন যোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।