বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময় রোগব্যাধিতে নাজেহাল আট থেকে আশি। আর এই রোগের চক্করে পড়ে খরচ হচ্ছে গাদা গাদা টাকা। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে ওষুধ নয় বরং বাঘের (Tiger) মূত্র ব্যবহার করলেই সেরে যাবে বড় বড় রোগ। শুনতে অবাক লাগললেও এমনই তথ্য সামনে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয় রোগ সারাতেও বিক্রি হচ্ছে এই মূত্র। আর এই কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই সকলের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সত্যি কি এমন হয় নাকি?
বাঘের (Tiger) মূত্রতে সারবে রোগ:
বর্তমান সময় অনেকেই বাতে ব্যথা নিয়ে জর্জরিত। এবার সেই ব্যথারই সমাধান পাওয়া গেল। শুধুমাত্র বাঘের মূত্র ব্যবহার করলে ম্যাজিকের মতো গায়েব হয়ে যাবে ব্যথা। আর তাই রোগ সারাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই উপাদানটি। জানা গিয়েছে, এমন কাণ্ড ঘটছে চিনে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, চিনের ইয়ান বাইফেংক্সিয়া ওয়াইল্ডলাইফ চিড়িয়াখানায় বিক্রি হচ্ছে এই বিশেষ উপাদানটি।
এই চিড়িয়াখানাটি মূলত চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত। অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত জায়গাটি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি সাইবেরিয়ান বাঘের (Tiger) মূত্রতেই নিরাময় হয় বাতের ব্যথা। আর ঠিক এই কারণে এক একটি বোতলে ২৫০ গ্রাম মূত্র বিক্রি করা হচ্ছে। আর এর দাম রাখা হয়েছে ৫০ ইউয়ান। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫৯৬ টাকা।
আরও পড়ুন: ‘বলুন কী চাই?… টাকা দিয়ে সব ঢাকা যায়’! তিলোত্তমার পরিবারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ মদনের
কীভাবে এই মূত্র ব্যবহার করতে হবে: চিনের চিড়িয়াখানার ওই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাঘের (Tiger) মূত্রের সঙ্গে সাদা ওয়াইন এবং আদার টুকরো মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই উপাদানটি ব্যথার জায়গায় ভালো করে মালিশ করে নিলেই সারবে রোগ। ওই চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, যে ওই প্রস্রাব চাইলে খেতেও পারেন। তবে কারোর অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি বাঘের এই মূত্র কিভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা প্রক্রিয়াকরণের পর গ্রাহকদের কাছে কিভাবে বিক্রি হচ্ছে সেই বিষয়েও জানান ওই কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন ‘ধর্ষণ, খুন, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধ নয়’! বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের! কোন মামলায়?
আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকের মতে, চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের এই দাবির সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কোনও যোগ নেই। এমনকি এটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন অনেকেই। পাশাপাশি অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যে চিড়িয়াখানায় এমন বাঘের (Tiger) মূত্র বিক্রি করা হচ্ছে, তাঁদের লাইসেন্স আছে তো? নাকি অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। এমনই সব প্রশ্ন উঠে আসছে।