বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারি (PNB Scam) কাণ্ডে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে (Nirav Modi) ভারতে ফিরিয়ে আনার রাস্তা আরও খানিকটা পরিস্কার হলো। গত নভেম্বর মাসেই লন্ডন হাই কোর্ট তাঁকে ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দেয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের অনুমতি চান তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর সেই আবেদনও নাকচ করে দিল সে দেশের হাই কোর্ট।
পিএনবি-সহ ভারতের একাধিক ব্যাংকে বড়সড় টাকার জালিয়াতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নীরব মোদি। এই ভাবেই একসময় পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসিও (Mehul Choksi)। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত।
এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে মান্যতা দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারপতি পরিস্কার জানিয়ে দেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থাতেই বিচার হবে বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত নীরব মোদিকে। তারপর থেকেই কোটি কোটি টাকার জালিয়াতিতে অভিযুক্ত এই অলঙ্কার ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশা দেখে ভারত। কিন্তু চতুর নীরবের একের পর এক চাল সেই আশায় জল ঢেলে দেয়। তিনি জানান, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নাকি একেবারেই ভাল নয়। তাঁর দাবি, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
নীরবের সেই যুক্তি খারিজ হয়ে যায় নভেম্বর মাসে। এবার খারিজ হল সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের অনুমতির আবেদনও। লন্ডন হাই কোর্টের (London High Court) এই সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখতে পেল ভারত। দীর্ঘদিন বাদে নীরবকে দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি কোনও বাধাই রইল না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।