ধর্মীয় সমাবেশের আড়ালে মহিলা জিহাদিদের নিয়ে গোপন বৈঠক! ভারতের বিরুদ্ধে ফের ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের?

Published on:

Published on:

Is Pakistan conspiring against India again?
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম)-এর নড়াচড়া নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি খবর এসেছে, বাহাওয়ালপুরে ধর্মীয় সমাবেশের আড়ালে একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে এই দুই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। শুধু তাই নয়, ওই সমাবেশে মহিলা জিহাদিদের উপস্থিতিও ধরা পড়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। এতে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি আশঙ্কা করছে যে সীমান্তের ওপারে ভারতের বিরুদ্ধে বড়সড় ষড়যন্ত্র পাকাপাকি ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পাকিস্তানে (Pakistan) জঙ্গি সমাবেশ চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের!

সূত্রের খবর অনুযায়ী, লস্কর-ই-তৈয়বার উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরি শনিবার পাকিস্তানের (Pakistan) বাহাওয়ালপুরের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারও। কাসুরি পক্ষপাতদুষ্টভাবে বহুবার বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের সঙ্গে দেখা করে থাকেন। গোয়েন্দাদের দাবি, পহেলগাম হামলার আগেও কাসুরি আজহারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন এবং হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তাঁকে অবহিত করেছিলেন। তাই তাঁদের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইন্ডিগো সঙ্কটের আবহে এই কোম্পানির শেয়ারে রকেটের গতি! কেনার জন্য হুড়োহুড়ি বিনিয়োগকারীদের

শনিবার যে সমাবেশে দু’জনের দেখা হয়, তার শিরোনাম ছিল “সীরাত-ই-নবী (সা.) এবং সহীহ বুখারী”। পাকিস্তানের (Pakistan) জামিয়া উম্মে আব্দুল আজিজ, তৌহিদ চক, আহমেদপুর পূর্ব, বাহাওয়ালপুরে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশের আড়ালেই জঙ্গি নেতাদের বৈঠক হয় বলে সন্দেহ। গোয়েন্দাদের মতে, এ ধরনের ধর্মীয় আসরকে ব্যবহার করে বহুবার জঙ্গি সংগঠনগুলি নিজেদের নেটওয়ার্ক ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গোপনে সাজিয়ে থাকে। এই সমাবেশে মহিলা জিহাদিদের উপস্থিতি বিশেষভাবে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি ভবিষ্যতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তাদের সক্রিয় ভূমিকার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

পাকিস্তানে (Pakistan)কাসুরি এবং আজহারের সাক্ষাতের তথ্য সামনে আসতেই ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সতর্কতা বেড়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, এই দুই জঙ্গি নেতার বৈঠক কখনই সাধারণ নয়। ইতিহাস বলছে, তাঁদের প্রতিবারের মিলিত অভিযানই শেষ পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে কোনও না কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। ফলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী, রাডার ইউনিট এবং গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক—সব ক্ষেত্রেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ, ড্রোন-চালিত অস্ত্র বা মাদক পাচার—সবকিছুকেই এখন সমান গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Is Pakistan conspiring against India again?

 

আরও পড়ুন: বন্ধু পুতিনকে ৬ টি উপহার দিলেন মোদী! তালিকায় রয়েছে বঙ্গের এই সামগ্রীও

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মতে, পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে এই ধরনের বৈঠক নতুন করে সন্ত্রাসী তৎপরতার ইঙ্গিতবাহী। কাসুরি এবং আজহারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ইঙ্গিত দেয়, সীমান্তের ওপারে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ইতিমধ্যেই আঁকা হয়ে থাকতে পারে। তাই সময়মতো কোনও সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে গোয়েন্দারা সমস্ত ইউনিটকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছেন। সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, নজরদারি ড্রোনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং সন্দেহজনক সব গতিবিধির ওপর কঠোর নজর রাখা হচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তা রক্ষায় এই সতর্কতা আগামী কয়েক দিন আরও জোরদার করা হবে বলেই সূত্রের খবর।