বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় দু’বছর ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এই সময়কালে একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। পার্থর মতো তাঁর ‘বান্ধবী’ অর্পিতারও (Arpita Mukherjee) একই অবস্থা! তাঁরও জীবন কাটছে জেলের মধ্যেই।
এদিকে ২০২২ সালে অর্পিতার বাড়ি থেকে যে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছিল সেটা কার, এই উত্তর এখনও মেলেনি। সম্প্রতি অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, অর্পিতা সকল টাকার দায় তাঁর মক্কেলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে নিজে মুক্তি পেতে চাইছেন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অবশ্য জানান, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উপার্জন করতে যদি সক্ষম হতেন তাহলে আমি আপনার পক্ষে থাকতাম। একথা শুনে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের আইনজীবী আবার বলে, আমার অপরাধ করার ক্ষমতা রয়েছে মানেই অন্য কোনও অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আমার, এই যুক্তির গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুনঃ ‘ফার্স্ট’ সুকান্ত মজুমদার, বাংলা থেকে নেই আর কেউ! কোন তালিকায় ‘টপ’ করলেন BJP সাংসদ?
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পরেও একাধিকবার পার্থ-অর্পিতার ‘খুনসুটি’র খবর সামনে এসেছে। দিন কয়েক আগে জেলে ভিডিও কনফারেন্সের সময়ও যেমন এমনই একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। তবে এখন দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র! তাহলে কি এবার দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে দু’জনের? নাকি ‘প্ল্যানমাফিক’ এই দায় ঠেলাঠেলি করছেন তাঁরা?
গত মার্চ মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানির সময় তাঁর সঙ্গে অর্পিতার সম্পর্কের ‘গভীরতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন, দু’জনের সম্পর্ক সাধারণ না। সেই সঙ্গেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিল প্রভাবশালী তত্ত্ব।
সেবারও অবশ্য পার্থর হয়ে জোর সওয়াল করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। পার্থ বলেন, ‘যার কাছে টাকা তিনি যদি স্বীকার না করেন তাহলে আমার কী করার আছে? অর্পিতা বাচ্চা দত্তক নিয়ে চেয়েছিলেন এটা ঠিক, কিন্তু তাঁর খারাপ মানসিকতার কথা আমি কীকরে জানব? একটা খামে আমার নাম লেখা মানেই সেটা দুর্নীতির প্রমাণ? যদি এসব স্বীকার করে নেওয়াও হয়, তাহলে এটা কীভাবে প্রমাণিত হয় যে আমি সকল জিনিসের মালিক?’