নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদবকে এক করার পিছনে তাঁর ভূমিকা কতটা? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অষ্টম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। বুধবার তিনি নতুন করে শপথ নেবেন। এ বারে বিজেপির (BJP) সঙ্গ ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন আরজেডি (RJD), কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে। সেই নতুন সরকারের হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই পালা বদলে লর পিছনে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) ভূমিকা কতটা? এর উত্তর দিলেন পিকে নিজেই।

বিহারের পালাবদলে তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই। এমনই দাবি করলেন নীতিশ কুমারের প্রাক্তন বন্ধু ও রাজনীতিক প্রশান্ত কিশোর। তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, গত বারের জোটের সঙ্গে এবারের জোটে অনেক তফাত। নীতিশ কুমার বরাবরই রাজনীতিতে অনেক পরীক্ষা চালান। এবারে তিনি সফল। তবে এই পালাবদলে দুটি জিনিস স্থির। এক, নীতিশ আবার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। দুই, বিহারে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি এখনও রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৬ বার পরিবর্তন হয়েছে সরকারের। তবে এই পালা বদলে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই বলেই জানান তিনি। গত বার মহা জোটে তিনিই ছিলেন আসল কারিগর। কিন্তু এবার তিনি সবার অলক্ষ্যে। তিনি জানান ২০১৩ সালে যখন নীতিশ মহাজোটে অংশ নেন তখন পরিস্থিতি ভিন্ন। মোদি আগ্রাসনকে রোখার জন্য নীতিশই ছিল একমাত্র মুখ। এরই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর শুভেচ্ছা জানান নতুন সরকারকে।

প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমারের জেডিইউ আগে আরজেডির সঙ্গে জোট করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে নীতীশ কুমার আরজেডির সঙ্গে জোট ভেঙে দেন। সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তেজস্বী যাদব। নীতীশ কুমার জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সময় আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। এরপরে তিনি এনডিএ-এর সঙ্গে জোট করেন। তারপর আবার ২০২২ সালে নতুন ভাবে প্রকাশ্যে এলো মহাজোট।

জানা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভা তৈরি হতে পারে আগের ফর্মুলাতেই। অর্থাৎ নীতীশের পূর্বতন জোটসঙ্গী বিজেপি যে মন্ত্রিসভার পদগুলি পেয়েছিল, সেগুলিই চলে যেতে চলেছে আরজেডি-র হাতে। আর জেডিইউ-এর যে পদগুলি ছিল, সেগুলি থাকছে নীতীশের দলের বিধায়কদের হাতেই।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর