বাংলাহান্ট ডেস্ক: ৩ দেশের দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করতে চাইছেন আমেরিকার (America) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? এমন জল্পনাই রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চরম উত্তেজনার ইঙ্গিত মিলছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে ‘রাডারে’ রেখেছে। এই তিন দেশকেই ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে জল্পনা আরও বেড়েছে, যেখানে তিনি এই দেশগুলির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করা হয়নি, তবুও ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে কূটনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
৩ দেশের দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করতে চাইছেন আমেরিকার (America) প্রেসিডেন্ট?
ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ মূলত মাদক পাচারকে ঘিরে। ট্রাম্পের দাবি, এই দুই দেশ থেকেই বিপুল পরিমাণ কোকেন ও মাদক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে দেশটির বিপুল তেল ভান্ডার, যা বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুদের অন্যতম। ওয়াশিংটনের লক্ষ্য এই তিন দেশেই নিজেদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করা—এমন অভিযোগও উঠছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের তরফে।
আরও পড়ুন:২৪, ২৫, ২৬ তারিখ আবহাওয়ার ‘বড় গেম’, দক্ষিণবঙ্গ নিয়েও হাড় কাঁপানো আপডেট দিল আবহাওয়া অফিস
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে নিয়ে উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেন, তিনি চান মাদুরো ভেনেজুয়েলা ছেড়ে চলে যান, নচেৎ তাঁর “যেকোনো কিছু হতে পারে।” ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হুমকির পর মাদুরোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনি কিউবার নিরাপত্তা এজেন্টদের উপর ভরসা করছেন এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। মাদুরোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হত্যা করে ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদের দখল নিতে চায়।
ইরানও মার্কিন চাপের মুখে রয়েছে। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ওয়াশিংটন। ২০২৫ সালের জুনে ইরানে ইসরায়েলি হামলার সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়, যদিও তিনি অক্ষত থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে চলতি বছরের শেষের দিকে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই তারা পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না।

আরও পড়ুন:নতুন শিক্ষাবর্ষে স্কুলগুলিতে কত ছুটি? তালিকা দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক পর্ষদ
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোকেও সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, পেট্রোর নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা উচিত। ট্রাম্পের অভিযোগ, কলম্বিয়া থেকে মাদক পাচার বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন পেট্রো। তিনি আরও বলেন, “আমরা কলম্বিয়ার জনগণকে ভালোবাসি, কিন্তু যা চলছে তা সহ্য করব না।” এই মন্তব্যের পর লাতিন আমেরিকা জুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এখন আশঙ্কা করছে, এই হুমকি ও পাল্টা অভিযোগের রাজনীতি বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।












