শেষমেষ বাংলা ছবি থেকে টুকছে বলিউড! কালজয়ী ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’এর নকল ‘থ‍্যাঙ্ক গড’? শুরু বিতর্ক

বাংলাহান্ট ডেস্ক: একটানা বক্স অফিসে খরার পর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সুখের দিন এনেছে বলিউডে (Bollywood)। কিন্তু ছবি ভাল ব‍্যবসা করলেও বলিউডের উপর থেকে ক্ষোভ এখনো যায়নি দর্শকদের। অজয় দেবগণ এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রার আসন্ন ছবি ‘থ‍্যাঙ্ক গড’ (Thank God) এর ট্রেলার দেখেই ফের শুরু হয়েছে বয়কটের ডাক। হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ তো উঠেছেই, উপরন্তু আরো এক বিষ্ফোরক অভিযোগ উঠেছে থ‍্যাঙ্ক গডের বিরুদ্ধে। বাংলা ছবি ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ এর নকল করে নাকি তৈরি হচ্ছে থ‍্যাঙ্ক গড।

রিমেক ছবি দর্শকদের কাছে নতুন নয়। হিন্দি ছবি বাংলায় রিমেক হওয়া বা ইংরেজি ছবি হিন্দিতে রিমেক হওয়া বা দক্ষিণী ভাষার ছবি হিন্দি কিংবা বাংলাতে রিমেক হওয়ার মতো ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু সাধারণত সে সমস্ত ছবি অফিশিয়ালি রিমেক হয়। অথচ ‘থ‍্যাঙ্ক গড’ ছবিটি যে ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ এর অফিশিয়াল রিমেক এমন কোনো খবরই নেই।

Thank god 1
কিন্তু ছবির ট্রেলার দেখে সিনেপ্রেমীদের একটা বড় অংশ দাবি করছেন, এ ছবি হুবহু যমালয়ে জীবন্ত মানুষের নকল। কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় অভিনীত যমালয়ে জীবন্ত মানুষ বাংলা সিনেমার অন‍্যতম ক্লাসিক। দীনবন্ধু মিত্রের লেখা গল্পকে সিনেমার রূপ দিয়েছিলেন পরিচালক প্রফুল্ল বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।

ছবিতে দেখানো হয়েছিল, সিধু অর্থাৎ ভানু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় জীবিতাবস্থায় যমালয়ে পৌঁছে যান। চিত্রগুপ্তের পাঠানো যমদূত ভুল করে জ‍্যান্ত মানুষকে ধরে যমালয়ে নিয়ে চলে যায়। তারপর সেখানে ঘটা নানান হাস‍্যকর ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ক্লাসিক সেই ছবি।

Jomaloye jibonto manush
এদিকে বলিউডের থ‍্যাঙ্ক গড ছবির ট্রেলারেও দেখানো হয়েছে, গাড়ি দুর্ঘটনার পর চিত্রগুপ্তের সামনে হাজির হন সিদ্ধার্থ। তাঁকে জানানো হয়, তিনি জীবন মৃত‍্যুর মাঝামাঝি স্তরে রয়েছেন। তাঁর দুর্বলতাগুলো গণনা করে স্বর্গ বা নরকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন চিত্রগুপ্ত ওরফে অজয় দেবগণ। দুটি ছবিরই গল্প প্রায় এক।

সত‍্যিই কি বলিউড বাংলার কালজয়ী ছবি থেকে টুকে দিয়েছে? এ বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে নেটমাধ‍্যমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, একই ধ‍রনের বিষয়ের উপরে একাধিক ছবি তৈরি হয়েছে আগেও। একে ‘নকল’ বলা সম্ভবত উচিত নয়। অন‍্যদিকে টলিউডের নামী প্রযোজক রানা সরকারের মতে, গল্পের বিশেষ অংশগুলো অবিকৃত রেখে অন‍্যান‍্য ঘটনাগুলো এদিক ওদিক করে দিলেই ‘চুরি’র দায় থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর