বাংলাহান্ট ডেস্ক: টানাপোড়েনকে ছাপিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (India-America) সম্পর্ক অটুট থাকতে চলেছে এমনই সংক্ষিপ্ত জোরালো বার্তা দিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। কর্মকর্তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উচ্চস্তরের বৈঠক খুব তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠিত হতে পারে। একই সঙ্গে চতুর্দেশীয় কোয়াড (Quad) শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ নিয়েও ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে; যদি না হয় এ বছর, তবে আগামী বছরের শুরুতেই সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা তোলেন তারা।
বরফ গলছে ভারত আমেরিকা সম্পর্কের (India-America)
উপরন্তু ওই শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, মোদি ও ট্রাম্পের পারস্পরিক সম্পর্ক ইতিবাচক এবং এই ইতিবাচক গতিই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সম্প্রতিই কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক অস্থিরতার কারণে ট্রাম্প কোয়াড সম্মেলনে ভারতে না আসতে পারেন—তাহলে সেই ধারণা ছিন্ন হতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে ওয়াশিংটন (India-America)।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১১ জনের মৃত্যু, CESC-কে জবাবদিহির নির্দেশ হাই কোর্টের
তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India-America) সব ইস্যুই সমাধান সহজ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আছে। মার্কিন জ্বালানি দফতরের মন্ত্রী ক্রিস রাইট অভিযোগ তুলেছেন, মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা ভারতকে পরোক্ষণভাবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সহায়তা করতে বাধ্য করে। তিনি বলছেন, ভারতের কাছে বিকল্প প্রচুর রয়েছে এবং রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করা উচিত; একই সঙ্গে আমেরিকা জ্বালানি সহযোগিতায় বিস্তৃত সম্ভাব্য বিকল্প প্রস্তাব করতে প্রস্তুত। রাইট স্পষ্ট করেছেন, “আমরা ভারতকে শাস্তি দিতে চাই না; পৃথিবীর যে কোনও দেশ থেকে তেল কিনতে পারে ভারত — শুধু রাশিয়া সরাসরি বাদ থাকা ছাড়া।”
জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু সম্পর্কে মার্কিন দফতর বলেছে, এটি পূর্ণতঃ দ্বিপাক্ষিক ইস্যু; ওয়াশিংটন কোন রকম মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করছে না, যদিও প্রয়োজনে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকবে। অংশ্যো হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবার দাবি করেছেন যে ভারতের ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তিনি থামাতে সক্ষম হয়েছেন এবং প্রয়োজনে আরও ভূমিকা রাখতে পারেন (India-America)।
আরও পড়ুন: অষ্টম পে কমিশনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা পাবেন ‘জোড়া’ উপহার! শিকে ছিঁড়বে শীঘ্রই…
কূটনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পর্যায়ে কোনো পক্ষই নতুনভাবে জট পাকাতে চান না। আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক বজায় রাখাই উভয়েরই লক্ষ্য। ফলে ক্ষণিকীয় টানাপোড়েন থাকলেও—যেমন রাশিয়ার জ্বালানি কেনা—দু’দেশের কূটনৈতিক ও কৌশলগত সংযোগ শীঘ্রই পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল (India-America)।