বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাবিশ্বের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে একের পর এক রহস্য (Mystery)। যেগুলির অধিকাংশই এখনও আমাদের অজানা। এমতাবস্থায়, সেইসব রহস্যের সমাধানের জন্য বছরের পর বছর ধরে অক্লান্ত গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা (Scientists)। শুধু তাই নয়, প্রায়শই তাঁরা সামনে আনেন একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন, তাঁরা সৌরজগতের (Solar System) নবম গ্রহের সম্ভাব্য অবস্থান খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন, সৌরজগতের বাইরের প্রান্তে (প্লুটোর বাইরে) কিছু অবজেক্ট এমন আচরণ করছে যা দেখে মনে হচ্ছে সেগুলি কিছুর টান অনুভব করছে যা এখনও দেখা যায়নি। গবেষকদের মতে এই রহস্যময় অবজেক্ট অন্য গ্রহ হতে পারে। এদিকে, এই রহস্যময় বস্তুর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের সৌরজগতের গঠন এবং সেইসাথে বিবর্তনের প্রক্রিয়াগুলি আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এই আবিষ্কারটি প্যান-STARRS1 সার্ভের তথ্য ব্যবহার করে দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে সাবমিট করা হয়েছিল। যেখানে পূর্ববর্তী গবেষণার দ্বারা নবম গ্রহের স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা সম্ভাব্য স্থানগুলির ৭৮ শতাংশকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবিষ্কারটি অনুসারে, ওই বিশেষ স্থানটি গ্যালাকটিক প্লেনের কাছাকাছি অন্তর্ভুক্ত। এই গ্যালাকটিক প্লেন স্থানটি আগামী ভেরা রুবিন অবজারভেটরি সার্ভেতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি, বিজ্ঞানীদের দলটি এখন দেখছে কেন গ্রহটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি; যার মধ্যে এমন একটি সম্ভাবনাও রয়েছে যে সেটি হয়তো একেবারেই নেই।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মোস মিসাইল কেনার জন্য ১৯ হাজার কোটির অনুমোদন কেন্দ্রের, আরও শক্তিশালী হবে ভারতীয় নৌসেনা
এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীদের দল গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, “এই ধরণের ব্যাখ্যার জন্য বাইরের সৌরজগতে দেখা একাধিক ঘটনার নতুন ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে। যতক্ষণ না এই ধরণের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, আমরা প্ল্যানেট নাইনকে সবচেয়ে সম্ভাব্য অনুমান হিসাবে বিবেচনা করতে থাকবো।” পাশাপাশি, একটি বিকল্প সম্ভাবনা হল যে, প্ল্যানেট নাইন সূর্য থেকে আরও দূরে অবস্থিত এবং প্রাথমিকভাবে প্রত্যাশার তুলনায় এটি একটি বড় ভরের অধিকারী হতে পারে। যার ফলে এটি শনাক্ত করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। বর্তমানে, দলটি দাবি করেছে যে এই ধরণের একটি গ্রহ সৌরজগতের বাইরের প্রান্তে পর্যবেক্ষণ করা বস্তুর দ্বারা প্রদর্শিত কক্ষপথের নিদর্শনগুলির জন্য সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেয়।
আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে সংখ্যা! ৫০ টি নতুন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস লঞ্চ করতে চলেছে রেল, বাংলায় কয়টি?
কেন বিজ্ঞানীরা নবম গ্রহ খুঁজছেন: উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালে ক্যালটেকের দু’জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী নেপচুনের বাইরে ৬ টি বস্তুকে পর্যবেক্ষণ করে মহাকর্ষীয় প্রভাবের ইঙ্গিত দিয়ে রহস্যময় নবম গ্রহের সন্ধান শুরু করেছিলেন। এর ফলে অদৃশ্য মহাজাগতিক বস্তুর পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা শুরু হয়। গবেষকরা তখন থেকে তাঁদের অনুসন্ধানকে পরিমার্জিত করেছেন। পাশাপাশি, ওই বস্তুর আকার পৃথিবীর তুলনায় দুই থেকে চারগুণ হবে বলে অনুমান করেছেন তাঁরা। তবে, সেটি শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি, এটাও অনুমান করা হয় যে, সেটি একটি পরিসংখ্যানগত অসঙ্গতি বা ক্যালটেক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পক্ষপাতদুষ্ট ফলাফল হতে পারে।