বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলা থেকে গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক (MLA) নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। গ্রেফতারির পর প্রায় একমাস হতে চলল, তবে এখনও ছাড়া পাননি ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা। নেতার আইনজীবী তরফে শতবার জামিনের আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি। প্রতিবারই খারিজ হয়েছে জামিনের আর্জি। এদিনও তার অন্যথা হল না। ধর্মতলা কাণ্ডে ফের জেল হেফাজত (Jail Custody) নওশাদ সিদ্দিকির। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইএসএফ নেতাকে (ISF leader) জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত।
একদিকে জেলবন্দি নওশাদ, অন্যদিকে তার মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে নেতার অনুগামীরা। জামিন না মিললেও শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে প্রবেশের সময় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আইএসএফ বিধায়ক। তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে নওশাদ বলেন, “যে লড়াইতে নেমেছে নওশাদ সিদ্দিকি, সেই লড়াই কোনওভাবেই থামবে না। আমার সঙ্গে যা করছে তাঁর উত্তর পঞ্চায়েত ভোটে পাবে শাসকদল”
এদিন আর কী বললেন নওশাদ? আদালতে ঢোকার মুখে নওশাদ বলেন, “একজন বিধায়ককে কিভাবে আটকে রাখা হয়েছে সবাই দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু কোনভাবেই লড়াই থামানো যাবে না। লড়াই চলছে এবং চলবে। অনেক মামলাই দেবে আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু সবাই দেখতে পাচ্ছে কি হচ্ছে। নওশাদ সিদ্দিকী থেমে থাকবে না।”
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মাসে। হাতিশালায় পতাকা লাগানোর ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ বাঁধে। যেই সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এরপর এই ঘটনার আঁচ এসে পরে শহর কলকাতায়। ধর্মতলায় চলে অবরোধ। তৃণমূল-আইএসএফ দুপক্ষের সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি সহ বোমাবাজি, গুলি চলার মত অভিযোগ উঠে আসে।
ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছালে তাদের সাথেও আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর টেনে-হিঁচড়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। গ্রেফতার হন আইএসএফ নেতা। তখন থেকে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও জামিন পাননি নওশাদ। এদিন সরকারি আইনজীবীর তরফে নওশাদের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হলে ফের তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।