সর্ষের মধ্যেই লুকিয়েছিল ভূত! দেশের মাটিতেই চলছিল বিশেষ প্রশিক্ষণ, পুলিশের স্পেশাল সেলের জালে ২ জঙ্গি

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের অন্দরেই ফের আইসিস (ISIS) মডিউল গজিয়ে ওঠার আশঙ্কা! দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের জালে ধরা পড়ল দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী দিল্লি এবং মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেরই নাম আদনান এবং তারা ভোপালের বাসিন্দা। তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতরা আইসিস তথা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাদের। পুলিশের দাবি, দিল্লিতে এক ভয়াবহ ফিদাইন বা আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল তারা। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাদের পাকড়াও করে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।

দেশের অন্দরেই চলছিল আইসিস (ISIS) মডিউলের প্রশিক্ষণ!

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি (ISIS) এক গোপন জায়গায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল রাজধানী দিল্লির জনবহুল এলাকায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে সাদিক নগর থেকে এক আদনান ও ভোপাল থেকে অপর আদনানকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে সেজে উঠবে ভারতীয় সেনা, ৭৯ হাজার কোটির প্রকল্পে সবুজ সংকেত কেন্দ্রের

এই দুই অভিযুক্তের আগেই একই মামলায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই চারজনের জেরায় মিলেছিল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যার সূত্র ধরে নয়া দুই জঙ্গির নাগাল পায় পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, একাধিক মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে মেলে পাকিস্তানভিত্তিক আইএসআই এবং পশ্চিম এশিয়ার আইসিস (ISIS) মডিউলের সঙ্গে কথোপকথনের প্রমাণ।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা অনলাইন মাধ্যমে আইসিসের (ISIS) প্রচারক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেখান থেকেই তারা আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এবং হামলার জন্য প্রাথমিক নির্দেশও পেয়েছিল। দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, “এটি কেবল দুই অভিযুক্তের বিষয় নয়, এর পেছনে আরও বড় নেটওয়ার্ক কাজ করছে। আমরা তাদের জেরা করে গোটা চক্রের পরিধি জানার চেষ্টা করছি।”

ISIS module feared to be emerged again in India.

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা থেকেই শিক্ষা, ভিড় নিয়ন্ত্রণে উৎসবের মরশুমে ১২ হাজার স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের

পুলিশ সূত্রে আরও খবর, গত ছয় মাসে এই একই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মডিউলের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো, যাতে অস্থিরতা তৈরি হয়। ধৃতদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে নিরাপত্তা বাহিনী জানতে পেরেছে, তারা আইসিসের (ISIS) প্রোপাগান্ডা ভিডিও এবং বার্তা সক্রিয়ভাবে প্রচার করত এবং অনলাইনে আরও যুবকদের উস্কানি দিত সংগঠনে যুক্ত হতে।

বর্তমানে অভিযুক্তদের দিল্লিতে এনে জেরা করা হচ্ছে। তাদের জেরায় কী কী তথ্য উঠে আসে, সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় রাজধানী এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য এই আইসিস (ISIS) মডিউলের গোটা চক্রটিকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করা।