বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা তাদের ঈশ্বরের উপাসনা গৃহ স্থাপন করে এসেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন রকমের উপাসনা গৃহ লক্ষ্য করা যায়। আজ থেকে বহু বহু শতাব্দী আগে কোন রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই মানুষ তৈরি করেছে তার ভগবানের বাসস্থান। ভারতবর্ষ সনাতন হিন্দু প্রধান দেশ।স্বাভাবিকভাবেই ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানান দেবদেবীর মন্দির। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে নতুন পালক।
পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির। নদীয়া জেলার মায়াপুরের নাম আমাদের সকলেরই জানা। এই মায়াপুরেই নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির। বেশ কয়েক বছর আগেই ইসকনের তরফ থেকে মন্দিরটির নকশা ও ছবি জনসমক্ষে আনা হয়। অবশেষে এই মন্দিরটির নির্মাণকার্য শেষ হতে চলেছে। ইসকন কর্তৃপক্ষ আশা করছে ২০২৩ সালের মধ্যে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে এই মন্দিরটির দরজা।
সূত্রের খবর নদীয়ার মায়াপুরে নির্মীয়মান এই মন্দিরটিতে একসাথে ১০ হাজার পুন্যার্থী দর্শন করতে পারবেন শ্রীকৃষ্ণকে।এছাড়াও বৈদিক প্ল্যানেটরিয়ামে থাকবে ইনস্টিটিউট অফ বৈদিক কসমোলজি বিভাগ। এই বিভাগের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি দর্শন লাভ করা যাবে ভগবান কৃষ্ণের। এর সাথে থাকবে মহাজাগতিক নানা শক্তি নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা।
বিশ্বের বৃহত্তম এই মন্দিরটি নির্মিত হচ্ছে ৭০০ একর জমির উপর। এই মন্দিরটি নির্মিত হবে শ্রীলা প্রভুপাদের মতাদর্শে। আমেরিকার ক্যাপিটাল বিল্ডিং এর আদলে নির্মিত হচ্ছে এই মন্দিরটি। কথায় আছে শ্রীলা প্রভুপাদ যখন আমেরিকায় গিয়েছিলেন তখন তার এই ক্যাপিটাল বিল্ডিংটি খুবই পছন্দ হয়। সেই সময় তিনি বিল্ডিংটি একটি ছবিও তুলে রাখেন। এবার সেই ছবির অনুপ্রেরণা থেকেই তৈরি করা হচ্ছে মায়াপুরের এই মন্দিরটি।
এই মন্দিরটি হতে চলেছে ভারতবর্ষের অন্যতম একটি উঁচু মন্দির। এছাড়াও এই মন্দিরের মধ্যে থাকবে সর্ববৃহৎ গম্বুজ। শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মভূমি মায়াপুরের মুকুটে এক নতুন পালক যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় ভক্তরা।