বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (Islamic State of Iraq and the Levant) বিগত কয়েক বছরে ১২ টি ভারতীয় রাজ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে। সরকার দ্বারা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইরান আর সিরিয়ার এই জঙ্গি সংগঠন কেরল (kerala), পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ আর জম্মু কাশ্মীরে সবথেকে বেশি সক্রিয়। জানিয়ে দিই, ইসলামিক স্টেট ২০১৪ এর পর সিরিয়া আর ইরাকের অনেক কয়েকটি অঞ্চলে সক্রিয় হয়েছে এবং বাংলাদেশ, মালি, সোমালিয়া এবং মিশরের মতো দেশে তাঁদের শাখাপ্রশাখা বিস্তার হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে যে, ইসলামিক স্টেটের সাথে লস্কর, আল-কায়দা এর মতো জঙ্গি সংগঠন গুলোর যোগাযোগ আছে। ভারতে নিজেদের বিচারধারা বিস্তারের জন্য সুন্নি জেহাদিদের এই জঙ্গি সংগঠন ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মঞ্চ গুলো ব্যবহার করছে। এই সংগঠনে যোগ দেওয়া বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক মানুষ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য এজেন্সি গুলোর নজরে আছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ বিনয় পি সহস্রবুদ্ধের লিখিত প্রশ্নে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি রাজ্যসভায় ভারতের বিভিইন রাজ্যে ইসলামিক স্টেটের বেড়ে চলা প্রভাব নিয়ে তথ্য দেন।
রেড্ডি বলেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA) দ্বারা তদন্তে জানা গিয়েছে যে, আইএস কেরল পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ আর জম্মু কাশ্মীরে সবথেকে বেশি সক্রিয়। উনি জানান, ভারতের অ্যান্টি টেরোরিস্ট এজেন্সি দক্ষিণের রাজ্য কেরল, কর্ণাটক, অন্ধপ্রদেশ আর তামিলনাড়ুতে জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতি বিষয়ক ১৭ টি মামলা দায়ের করেছে আর ১২২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
উনি বলেন, ‘‘Islamic State, ‘Islamic State অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া, সমেত এদের সমস্ত সংগঠন গুলোকে কেন্দ্র সরকার অবৈধ গতিবিধি আইন ১৯৬৭ অনুযায়ী নিশিদ্ধ তালিকাভুক্ত করে তাঁদের জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, নিজেদের বিচারধারা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসলামিক স্টেট ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করছে। মন্ত্রী জানান, সরকারের কাছে তথ্য আছে যে, এদের কীভাবে আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে আর নিজেদের গতিবিধি সঞ্চালিত করার জন্য তাঁরা কীভাবে বিদেশ থেকে সহায়তা পাচ্ছে।”