৯.২ লক্ষ কিমি সফরের পর সান-আর্থ ল্যাগ্রেঞ্জ বিন্দুর দিকে অগ্রসর! আদিত্য-L1 নিয়ে সুখবর শোনাল ISRO

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চন্দ্ৰযান-৩ (Chandrayaan-3)-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরও একটি বড়সড় সুখবর শোনাল ISRO (Indian Space Research Organisation)। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে, ISRO-র আদিত্য-L1 (Aditya-L1) সফলভাবে পৃথিবীর প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং পৃথিবী থেকে ৯.২ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ISRO পৃথিবীর প্রভাব বলয়ের বাইরে কোনো মহাকাশযানকে পাঠাতে সফল হয়েছে। এমতাবস্থায়, আদিত্য-L1 আর্থ ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট 1 (L1)-এর দিকে পথ খুঁজে চলেছে। উল্লেখ্য যে, পৃথিবীর প্রভাব বলয় থেকে আদিত্য-L1-এর সফলভাবে বেরিয়ে আসার বিষয়টি নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য একটি বড় অর্জন।

https://twitter.com/isro/status/1708109758454993364?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1708109758454993364%7Ctwgr%5E2c342b7689d3ad18c0e4e65b60e3a8d03e7b75c5%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fbharat.republicworld.com%2Findia-news%2Fgeneral-news%2Faditya-l1-moving-fast-towards-sun-earth-lagrange-point-1-isro-gave-big-update%3Ffbclid%3DIwAR3uIqk-zF5c6A9rKbl7CqYjMMjsVnrqMJsrcFhenaxVp1XwgmN5_fRTQ9A

ল্যাগ্রেঞ্জ বিন্দু অর্থাৎ L1 কি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, L1-এর অর্থ হল “Lagrange Point 1”; যেখানে মহাকাশযানটি স্থাপন করা হবে। ল্যাগ্রেঞ্জিয়ান পয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে ইতালিয়-ফরাসি গণিতবিদ জোসেফি-লুই ল্যাগ্রেঞ্জের নামে। পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে ৫ টি ল্যাগ্রেঞ্জিয়ান পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে L1 এবং L2 পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে রয়েছে। L1 বিন্দু মহাকাশের নির্দিষ্ট অবস্থানগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দু’টি মহাকাশীয় বস্তুর মহাকর্ষীয় শক্তি ভারসাম্যের অঞ্চল তৈরি করে। এই বিন্দুগুলির মধ্যে, একটি মহাকাশযান ক্রমাগত জ্বালানি খরচ ছাড়াই স্থির অবস্থা বজায় রাখতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুন: ৪ কোটি গাছ লাগিয়ে একাই তৈরি করেছেন বনভূমি! দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বিখ্যাত এই ভারতীয়

আদিত্য-L1 মিশনের লক্ষ্য: গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে “আদিত্য-L1” লঞ্চ করা হয়েছিল। ISRO-র এই মিশনের লক্ষ্য হল সান-আর্থ “L1” বিন্দুতে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলকে পর্যবেক্ষণ করা। ISRO-র তরফে জানানো হয়েছে আদিত্য-L1 পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে। এই দূরত্ব পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে মোট দূরত্বের প্রায় এক শতাংশ।

আরও পড়ুন: বাইকে ভুলেও করবেন না এই ৪ কাজ, ধরা পড়লেই হাতে পাবেন বড় অঙ্কের চালান

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা NASA, ইউরোপিয় স্পেস এজেন্সি এবং জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টার সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে পৃথক পৃথক ভাবে এবং যৌথ মহাকাশ মিশন পাঠিয়েছে। এদিকে, সূর্য থেকে নির্গত আলো ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে পৃথিবীতে পৌঁছতে আট মিনিট সময় নেয়। পাশাপাশি, সূর্যের পৃষ্ঠ পৃথিবীর মতো কঠিন নয়। বরং এটি হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের ঘনীভূত গ্যাসের একটি গোলক। তাই বিভিন্ন স্থানে এর গতি ভিন্ন রয়েছে। এমতবস্থায়, ISRO-র এই মিশন সফল হলে সূর্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রহস্য উন্মোচিত হবে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর