বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিজ্ঞান ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে সবথেকে উন্নত ছিল ভারত। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার প্রধান এস সোমনাথ এমনই বক্তব্য পেশ করলেন। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা ইসরোর (Indian Space Research Organisation) প্রধানের দাবি, বেদে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল বীজগণিত, বর্গমূল, সময়ের ধারণা, স্থাপত্য, মহাবিশ্বের গঠন, ধাতুবিদ্যা, বিমানচালনার উৎসের সন্ধান।
পরবর্তীকালে সেগুলিকে পশ্চিমা দেশের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের মহাকাশ সংক্রান্ত দফতরের সচিব এবং স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যানও সোমনাথ। ইসরো প্রধান গতকাল নিজের বক্তব্য স্থাপন করেন বেদ ও বিজ্ঞানের যোগসূত্রের ধারণা দিতে গিয়ে।
তার দাবি, “আগে কোনও লিখিত লিপি ছিল না সংস্কৃতের। তাই এই বিষয়গুলি সকলে শুনে মুখস্থ করতো। বহু শতাব্দী ধরে এই ভাবেই ভাষাটা বেঁচেছিল। পরে দেবনগরী লিপির ব্যবহার শুরু হয়।” মধ্যপ্রদেশের উজ্জৈনে মহর্ষি পাণিনি সংস্কৃত এবং বেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবর্তন অনুষ্ঠানে বুধবার বক্তব্য রাখেন এস সোমনাথ।
সেখানে তার বক্তব্য, ব্যাকরণের জন্য বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষা হল সংস্কৃত। ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীদের সংস্কৃত প্রিয় ভাষা। সংস্কৃতের মিল রয়েছে কম্পিউটারের ভাষার সাথে। যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে চান তারা সংস্কৃত শেখেন। বিজ্ঞান ছাড়াও সংস্কৃত ভাষার অন্যান্য দিক সম্পর্কে এদিন প্রশংসা করেন ইসরো প্রধান।
তিনি প্রশংসা করেন সংস্কৃত সাহিত্যের। তার কথায়, সংস্কৃতকে সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং বৈজ্ঞানিক বিষয়তে আলাদা করা হয়নি। সংস্কৃত ভাষায় লেখা হয়েছিল জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রাসায়নিক বিজ্ঞান এবং বিমান চালানোর বিজ্ঞানের ফলাফল। তবে সেগুলি নিয়ে পরবর্তীতে গবেষণা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রাচীন গ্রন্থ ঘেঁটে বিজ্ঞানের গুরু হিসেবে ভারতকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে প্রকাশ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ। ইসরো এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। এই দুই সংস্থা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের অবদান খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেকের অনুমান, বিষয়টিকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য ইসরো প্রধান এই ধরনের মন্তব্য করেছেন।