বাংলা হান্ট ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Cnandrayaan-3)-এর বিরাট সাফল্যের পর ISRO (Indian Space Research Organisation) আজ ফের একটি নজির গড়তে চলেছে। আর সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসী। মূলত, সোলার মিশনের অধীনে ISRO-র পাঠানো আদিত্য-L1 (Aditya L1) আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল ৪-টের দিকে তার গন্তব্য L1 পয়েন্টে পৌঁছবে। উল্লেখ্য যে, ISRO পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যকে চূড়ান্ত গন্তব্যের কক্ষপথ L1 পয়েন্টে স্টাডি করার জন্য দেশের প্রথম মহাকাশ-ভিত্তিক মিশন “আদিত্য-L1” মহাকাশযানকে স্থাপনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে।
ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট কি: ISRO-র মতে, মহাকাশযান আদিত্য L-1 পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের “ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট 1” (L1)-এর চারপাশে একটি “হ্যালো” কক্ষপথে পৌঁছবে। “L1 পয়েন্ট” হল পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে মোট দূরত্বের প্রায় এক শতাংশ। পাশাপাশি, “ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট” হল সেই অঞ্চল যেখানে পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যবর্তী মাধ্যাকর্ষণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। “হ্যালো” কক্ষপথ মূলত L1, L2 বা L3 “ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট”-এর একটির কাছাকাছি পর্যায়ক্রমিক ত্রিমাত্রিক কক্ষপথ।
এখান থেকে সূর্যকে স্টাডি করা হবে: ISRO-র মতে, “হ্যালো” কক্ষপথে “L1 পয়েন্ট”-এর চারপাশে স্যাটেলাইট থেকে সূর্যকে একটানা দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এটি সূর্যের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণে এবং রিয়েল টাইমে মহাকাশের আবহাওয়ার ওপর এর প্রভাব পর্যবেক্ষণে আরও বেশি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে যে, শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে আদিত্য-L1-কে L1-এর চারপাশে একটি “হ্যালো” কক্ষপথে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: আরও বাড়বে ট্রেনের গতি! ৫০ হাজার কিমির নতুন ট্র্যাক বসাতে ৭ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করবে রেল
আদিত্য L-1 ২ সেপ্টেম্বর সফর শুরু করে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ISRO-র পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV-C57) মারফত গত গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের (SDSC) দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে আদিত্য-L1-কে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ISRO জানায় যে, মহাকাশযানটি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে এবং পৃথিবীর প্রভাব বলয় এড়িয়ে সূর্য-পৃথিবী “ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট 1” (L1)-এর দিকে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: আর কেউ পারবে না ঠকাতে! সাইবার ক্রাইম রুখতে টেলিকম কোম্পানি এবং ব্যাঙ্কগুলিকে কড়া নির্দেশ সরকারের
হবে একাধিক লাভ: এই সোলার মিশনের মূল উদ্দেশ্য হল, সৌর বায়ুমণ্ডলের গতিশীলতা, সূর্যের করোনার তাপ, সৌর ভূমিকম্প বা সূর্যের পৃষ্ঠে “করোনাল মাস ইজেকশন” (সিএমই) এবং সৌর শিখা-সম্পর্কিত কার্যকলাপগুলি স্টাডি করা। এর পাশাপাশি পৃথিবীর কাছাকাছি মহাকাশে আবহাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাও পর্যবেক্ষণ করা যাবে। অর্থাৎ, সামগ্রিকভাবে আদিত্য L1-এর সাফল্যে সূর্যের একাধিক রহস্য জানতে পারবে বিশ্ব।