হাতের মুঠোয় আসবে চাঁদ! চন্দ্রযান ৪-এ ধামাকা করে দেখাবে ISRO, আগের তুলনায় আরও “জটিল” হবে মিশন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছে ISRO (Indian Space Research Organisation)। শুধু তাই নয়, ISRO-র এই সাফল্য অবাক করেছে গোটা বিশ্বকেও। তবে, এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ISRO “অভ্যন্তরীণভাবে” চন্দ্রযান-৪ মিশনের লঞ্চের পরিকল্পনায় কাজ করছে। পাশাপাশি, ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই একটি “ভালো নকশা” এবং “উচ্চ প্রযুক্তির” মাধ্যমে ওই কাজে জড়িত রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফলভাবে অবতরণের পর, ISRO চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীতে মাটি ফিরিয়ে আনার আরও “জটিল” মিশন তৈরি করেছে। এদিকে, গত শনিবার, GSLV-F14/INSAT-3DS উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের পর, ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন যে, ISRO চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর ভবিষ্যতে চন্দ্রযান ৪, ৫, ৬ এবং ৭ মিশন পাঠাতে চায়।

ISRO is preparing for Chandrayaan 4

এই প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, “চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানে কি থাকা উচিত (পেলোড হিসেবে) তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।” সমগ্ৰ পরিকল্পনাটিতে ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে চন্দ্রযান ৪-এ অন্তত চাঁদের মাটির একটি নমুনা থাকা উচিত। যা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা এটি রোবটিক করতে চাই। তাই, এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে।”

আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটে মিলবে ৯.১০ শতাংশ সুদ, এই ৪ ব্যাঙ্ক বাড়িয়ে দিল রেট, গ্রাহকেরা হবেন মালামাল

এছাড়াও, সোমনাথ বলেন, “আমরা সকলেই উপলব্ধ রকেটের সাহায্যে এই কাজটি কিভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করছি। আপনারা জানেন চাঁদে যাওয়া এবং একটি নমুনা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জটিল কাজ। শুধু অবতরণ করা (চন্দ্রযান-৩ মিশনের মতো) নয়, আবার আরেকটি রকেটকে চাঁদ থেকে টেক অফ করে পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে এবং পৃথিবীতে অবতরণ করতে হবে। আমরা গতবার যা করেছি এটা তার দ্বিগুণ কাজ। সুতরাং, আমাদের রকেটগুলি আজ সম্পূর্ণরূপে সক্ষম নয়। তাই, এই কারণে আমরা একটি অভিনব নকশার চেষ্টা করছি। যা আমি এখন আপনাদের বলব না। এটি গোপন থাকবে।”

আরও পড়ুন: ইজরায়েলকে সাহায্য আদানির! গাজা ধূলিসাৎ করতে পাঠিয়েছেন ৯০০ ড্রোন, প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য

তিনি বলেছেন, বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৪ মিশনের জন্য একটি উচ্চ প্রযুক্তির বিকাশ করবেন। তাঁর মতে, “এই মিশনটি করার জন্য আমরা উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করছি। আমরা শীঘ্রই সরকারি অনুমোদনের পরে ফিরে আসব। সমস্ত কিছু হওয়ার পর আমি বিশ্বকে বলতে পারি। ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর