ইজরায়েলকে সাহায্য আদানির! গাজা ধূলিসাৎ করতে পাঠিয়েছেন ৯০০ ড্রোন, প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় বিষয় সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গাজায় হামলার জন্য ভারতীয় কোম্পানি ইজরায়েলের (Israel) জন্য ড্রোন তৈরি করে তা রপ্তানি করছে। ইতিমধ্যেই মিডল ইস্ট আই-এর একটি রিপোর্টে এহেন দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে ভারতে তৈরি ২০ টি হার্মিস ৯০০ (Hermes 900) ড্রোন আদানি-এলবিট অ্যাডভান্সড সিস্টেম ইন্ডিয়া লিমিটেডের জয়েন্ট প্রোডাকশনের মাধ্যমে ইজরায়েলে সরবরাহ করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতের আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং ইজরায়েলের এলবিট সিস্টেম এলবিট ৯০০ ড্রোন তৈরির জন্য একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার গঠন করেছে। যদিও, ভারতের তৈরি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ইজরায়েলের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি কোনো দেশই স্বীকার করেনি। এদিকে, মিডল ইস্ট আই-এর এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কর্মী ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, এই ড্রোন চুক্তিটি ইজরায়েলের সাথে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেয়। কিন্তু ভারত না চাইলেও গাজায় চলা ইজরায়েলের যুদ্ধে “ফেঁসে” যেতে পারে। যা সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

Adani has sent 900 drones to Israel

হার্মিস ৯০০ ড্রোন কতটা বিপজ্জনক: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, হার্মিস-৯০০ ড্রোনটি হায়দ্রাবাদের একটি প্রাইভেট প্রোডাকশন ফেসিলিটিজে তৈরি করা হয়। ইজরায়েল ইতিমধ্যেই এই বিপজ্জনক ড্রোন ব্যবহার করছে। হার্মিস ৯০০ ড্রোন ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম। সাধারণত এই ড্রোনটি বিভিন্ন সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে এরিয়াল বোমাবর্ষণও যুক্ত রয়েছে। হার্মিস ৯০০ ড্রোন প্রথম ২০১৪ সালে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধের সময় সামনে আনা হয়েছিল। হার্মিস ৯০০-কে কোশেভ বা দ্য স্টারও বলা হয়। ইজরায়েল যে চারটি মারাত্মক ঘাতক ড্রোন ব্যবহার করে তার মধ্যে এটি অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।

আরও পড়ুন: Jio-র এই প্ল্যানে মিলবে No Daily Limit! রয়েছে একগুচ্ছ সুবিধাও, দাম মাত্র এত টাকা

যুদ্ধের মধ্যে ড্রোন সরবরাহ: রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারতে তৈরি হার্মিস ৯০০ ড্রোনের ডেলিভারি ঠিক সেই সময়ে হয়েছে যখন ইজরায়েলি বিমান হামলায় রাফাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ হয়েছে। রাফা প্যালেস্তাইনের একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকা। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন যে, গাজায় চলমান অভিযানের সময় ড্রোনগুলি ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র। যেখানে সেগুলি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে এবং তাদের ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হয়। ইজরায়েল এবং আমেরিকা উভয়ই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে নজরদারির উদ্দেশ্যে ও হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য ড্রোন মোতায়েন করেছে।

আরও পড়ুন: WhatsApp-কে টেক্কা! ঝড় তুলতে আসছে দেশীয় মেসেজিং অ্যাপ Samvad, গ্রিন সিগন্যাল দিল DRDO

ইজরায়েলি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত: জানিয়ে রাখি যে, ভারত ইজরায়েলি অস্ত্রের বৃহত্তম ক্রেতা হিসেবে বিবেচিত হয়। যে পরিমাণটা হল প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০১৫ ১৯-এর মধ্যে, ভারতীয়-ইজরায়েলি অস্ত্রের ক্রয় ১৭৫ শতাংশ বেড়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির অধীনে, ভারতীয়-ইজরায়েলি কোম্পানিগুলি ভারতজুড়ে বিভিন্ন কারখানায় অস্ত্র উৎপাদন শুরু করেছে। এমতাবস্থায়, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইজরায়েলি অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদন সহজতর হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর